ইসলামে জ্ঞান অর্জন অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। কুরআনের প্রথম শব্দই ছিল “ইক্রা” অর্থাৎ “পড়ো”। মহান আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল (সা.) বারবার জ্ঞানার্জনের তাগিদ দিয়েছেন। ইসলাম শুধুমাত্র ধর্মীয় জ্ঞান নয়, দুনিয়াবি সকল কল্যাণকর জ্ঞান অর্জনকেও উৎসাহিত করে। একজন মুসলিম শিক্ষার্থীর জন্য জ্ঞানার্জন ইবাদতেরই অংশ।
“পড়ো, তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন।”— সূরা আলাক: ১
“যে ব্যক্তি জ্ঞান অর্জনের পথে চলে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের পথ সহজ করে দেন।”— সাহিহ মুসলিম: ২৬৯৯
“জ্ঞানার্জন করা প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর ওপর ফরজ।”— ইবনে মাজাহ: ২২৪
“আল্লাহ তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে ও জ্ঞান অর্জন করেছে, তাদের মর্যাদা উচ্চ করে দেবেন।”— সূরা মুজাদালা: ১১
“বিদ্বানদের কালি শহীদের রক্তের চেয়েও মূল্যবান।”— আল হাদীস
“এক ঘণ্টা জ্ঞানার্জনের জন্য সময় ব্যয় করা এক রাত নফল ইবাদতের চেয়ে উত্তম।”
“যে আলেমের মৃত্য হয়, সে যেন একটি জ্যোতিষ্ক নিভে যায়।”
“পড়ালেখা শুধু দুনিয়ার জন্য নয়, আখিরাতের জন্যও উপকারী হতে হবে।”
“আল্লাহ তাআলা জ্ঞানীদের ভালোবাসেন, যারা জ্ঞানের আলো ছড়ায়।”
“যে মানুষ শিক্ষা লাভ করে না, সে নিজের ক্ষতিই করে।”
“প্রকৃত জ্ঞান সে-ই অর্জন করে, যার শিক্ষা তাকে আল্লাহভীতি শেখায়।”
“জ্ঞান এমন এক সম্পদ, যা চুরি হয় না, বরং যত দাও তত বাড়ে।”
“প্রথম ওহি ছিল পড়া—সুতরাং জ্ঞানার্জন ইসলামের প্রথম শিক্ষা।”
“যে ব্যক্তি জ্ঞানের জন্য কষ্ট সহ্য করে, আল্লাহ তাকে দ্বিগুণ উত্তম প্রতিদান দেন।”
“একজন শিক্ষিত মানুষ অজ্ঞের চেয়ে আলোকিত পৃথিবী যেমন দিনের চেয়ে রাত আলাদা।”
ইসলামে পড়ালেখা ও জ্ঞানার্জন শুধু প্রয়োজন নয়, বরং এটি ইবাদতের অংশ। যারা জ্ঞান চর্চা করে, আল্লাহ তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করেন এবং জান্নাতের পথ সহজ করে দেন। তাই জীবনের প্রতিটি ধাপে পড়ালেখা এবং জ্ঞানের প্রতি ভালোবাসা থাকা উচিত।

