ঘুষ এক ধরণের সামাজিক ব্যাধি, যা একটি দেশের অর্থনীতি, নৈতিকতা এবং প্রশাসনিক কাঠামোকে ধ্বংস করে দিতে সক্ষম। এই অপসংস্কৃতি শুধু একটি ব্যক্তির সৎ জীবনের পথকে বন্ধ করে দেয় না, বরং সামগ্রিক সমাজের ভিতকে নড়বড়ে করে তোলে। তাই ঘুষ নিয়ে বিখ্যাত ব্যক্তিদের কিছু উক্তি আমাদের চেতনায় আলো ছড়িয়ে দিতে পারে, যাতে আমরা ঘুষের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে পারি। এ লেখায় আমরা ঘুষ নিয়ে কিছু বাস্তব, অনুপ্রেরণামূলক ও শিক্ষনীয় উক্তি তুলে ধরেছি, যা সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
“ঘুষ গ্রহণ করা মানে নিজের আত্মাকে বিক্রি করে দেওয়া।”
“ঘুষের টাকায় কখনো বরকত আসে না, শুধু অভিশাপ জমা হয়।”
“ঘুষ হচ্ছে সেই বিষ, যা সমাজকে ধীরে ধীরে মেরে ফেলে।”— হুমায়ূন আজাদ
“ঘুষ গ্রহণ মানে নিজের আত্মসম্মানকে বিক্রি করে দেওয়া।”— ড. মুহাম্মদ ইউনূস
“যে ঘুষ নেয়, সে যেমন অপরাধী, যে দেয়, সেও তেমনি দোষী।”— ইসলামী হাদিস (সুনান আবু দাউদ)
“ঘুষের টাকায় সুখ আসে না, আসে অভিশাপ।”— অজানা
“ঘুষখোরদের মুখে দেশপ্রেম মানায় না।”— অজানা
“ঘুষ এমন এক আগুন, যা ন্যায়বিচারকে জ্বালিয়ে ছারখার করে দেয়।”— নেলসন ম্যান্ডেলা (ভাবার্থ)
“ঘুষ সামাজিক অবিচারকে প্রশ্রয় দেয়।”— জন এফ. কেনেডি
“ঘুষ এমন এক অভ্যাস, যা একবার শুরু হলে থামানো কঠিন।”— অজানা
“ঘুষ নেওয়া মানে, নিজের আত্মা বিক্রি করা।”— লিও টলস্টয়
“ঘুষ নিলে আপনি কেবল নিজের পকেট ভরাচ্ছেন না, কারও অধিকারও ছিনিয়ে নিচ্ছেন।”— অজানা
“ঘুষ খেয়ে কেউ ধনী হতে পারে, কিন্তু সম্মানী নয়।”— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (ভাবানুবাদ)
“ঘুষ সমাজের মর্যাদা খেয়ে ফেলে, যেমন ক্যান্সার শরীরকে ধ্বংস করে।”— ড. কামাল হোসেন
“ঘুষের কারণে মেধা হারায়, সুযোগ যায় দুর্নীতিবাজদের হাতে।”— অজানা
“যে ঘুষ ছাড়া চলে না, সে নিজের যোগ্যতায় বিশ্বাস করে না।”— অজানা
“ঘুষ নয়, সততা হোক আমার শক্তি – এই হোক নতুন শপথ।”— অজানা
“যে ঘুষ খায়, সে নিজের সন্তানদের জন্য হারাম উপার্জন রেখে যায়।”
“ঘুষ দিয়ে উন্নতি করা যায়, সম্মান কেনা যায় না।”
“ঘুষ হচ্ছে সমাজ ধ্বংসের নীরব খুনী।”
“ঘুষের টাকায় তৈরি সুখ খুব দ্রুতই ধ্বংস হয়ে যায়।”
“ঘুষ শুধু অপরাধ নয়, এটা আত্মসম্মানের লাশকাঠি।”
“ঘুষখোরদের মুখে নীতির বুলি, শুধুই ভণ্ডামির গল্প।”
“ঘুষ নিয়ে যারা গর্ব করে, তাদের চরিত্রই সবচেয়ে বড় দারিদ্র্যের উদাহরণ।”
“ঘুষখোরের হাসি কখনো স্থায়ী হয় না, কারণ তার পেছনে থাকে মানুষের অভিশাপ।”
“ঘুষ দিলে কাজ হয়, আর ঘুষ খেলে মানুষ মরালিটি হারায়।”
“ঘুষের বিরুদ্ধে না দাঁড়ালে, একদিন তোমার ন্যায়বিচারও বিক্রি হয়ে যাবে।”
ঘুষ একটি সমাজকে ভিতর থেকে ক্ষয় করে দেয়—এটা শুধু নৈতিকতার অপচয় নয়, বরং একটি জাতির উন্নয়নের পথেও অন্যতম প্রধান অন্তরায়। ঘুষ নিয়ে উক্তিগুলো আমাদের চোখ খুলে দেয়, সমাজে কীভাবে এই ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ছে এবং কেন তা প্রতিরোধ করা জরুরি। আসুন, আমরা সবাই মিলে ঘুষমুক্ত, স্বচ্ছ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ার প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করি। আপনার পরিবার, সমাজ ও দেশের ভবিষ্যৎ যেন সৎ নীতিতে গড়ে উঠতে পারে, সে লক্ষ্যে আজ থেকেই ঘুষের বিরুদ্ধে আপনার অবস্থান জানান।

