অনেক কথা বলার অভ্যাস আমাদের জীবনে কখনো আশীর্বাদ, কখনো অভিশাপ হয়ে দাঁড়ায়। কেউ কেউ ভাবেন, কথা বলেই সব কিছু জয় করা যায়। আবার কেউ মনে করেন, নীরবতাই সবচেয়ে শক্তিশালী উত্তর। বাস্তবতা হলো, বেশি কথা বলার ফলে সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে, অন্যের বিরক্তি জন্মাতে পারে এবং নিজের গুরুত্বও কমে যেতে পারে। তাই ‘বেশি কথা’ বলার পিছনের মনস্তত্ত্ব ও সামাজিক প্রভাব নিয়ে ভাবা দরকার। নিচে আমরা তুলে ধরেছি কিছু শক্তিশালী ও বাস্তবধর্মী উক্তি যা ‘বেশি কথা বলা’ বিষয়টি নিয়ে ভাবতে বাধ্য করবে।
“মুখ যত কম খোলো, মর্যাদা তত বাড়ে।”
“বেশি কথা বলার মধ্যে জ্ঞান নেই, জ্ঞানী লোকরা কম কথা বলেই গভীরতা প্রকাশ করে।”
“যে কম কথা বলে, সে কম ভুল করে।”
“চুপ থাকা সব সময় সম্মানের লক্ষণ, আর অকারণে বলা কথাগুলো একদিন বুমেরাং হয়ে ফিরে আসে।”
“বেশি কথা মানেই বুদ্ধির প্রমাণ নয়, বরং অনাকাঙ্ক্ষিত বিপদের সূত্রপাত।”
“ভদ্রতা আর সংযমের প্রথম শর্ত— কম কথা বলা।”
“শান্ত মানুষের নীরবতা, চিৎকারকারীর হাজার কথার চেয়ে বেশি অর্থ বহন করে।”
“যে মানুষ নিজের জিভকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, সে পৃথিবীর অনেক কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।”
“বেশি কথা মানেই নিজের মন খুলে দেওয়া নয়, বরং নিজের দুর্বলতা প্রকাশ।”
“বেশি বলা মানেই বেশি বোঝানো না, বরং কখনও কখনও কম বলেই সব বোঝানো যায়।”
“অনেক সময় কথা নয়, নীরবতা-ই সবচেয়ে বড় যুক্তি হয়ে দাঁড়ায়।”
“নিজেকে প্রমাণ করতে বেশি শব্দের দরকার হয় না, কাজই আসল ভাষা।”
“অতিরিক্ত কথা বিশ্বাসহীনতার জন্ম দেয়, কারণ বেশি বলা মানেই গোপন কিছু নেই।”
“চুপ থাকার মাঝে যে শক্তি আছে, তা হাজার শব্দ দিয়েও প্রকাশ করা যায় না।”
“কিছু কথা বুকের গভীরে লুকিয়ে রাখাই ভালো, সব কথা প্রকাশ করলে অনুভূতির গভীরতা ম্লান হয়ে যায়।”
“যে বেশি বলে, সে অন্যের কথা শোনার সুযোগ পায় না; আর যে অন্যের কথা শোনে না, সে অনেক মূল্যবান জ্ঞান থেকে বঞ্চিত হয়।”
“কথার ফুলঝুরি অনেক সময় ভেতরের শূন্যতাকে আড়াল করে রাখে।”
“নীরবতা দুর্বলতা নয়, অনেক সময় এটা গভীর চিন্তার প্রতিফলন।”
“বেশি কথা বলা মানে নিজের ভেতরের সবটুকু উজাড় করে দেওয়া নয়, বরং অনেক সময় নিজেকে সস্তা করে ফেলা।”
“যেখানে অল্প কথায় কাজ হয়, সেখানে বেশি কথা বলা সময়ের অপচয় মাত্র।”
“মিষ্টি কথায় ভুলিও না, কম কথায় যাচাই করো।”
“অতিরিক্ত বক্তৃতার চেয়ে একটি কাজের দৃষ্টান্ত অনেক বেশি শক্তিশালী।”
“কথা বলার আগে ভাবুন, কারণ একবার মুখ ফসকালে তা আর ফেরানো যায় না।”
“সবাইকে খুশি করার জন্য বেশি কথা বলার প্রয়োজন নেই, বরং সত্যি কথা বলুন, সেটাই যথেষ্ট।”
“বেশি কথা অনেক সময় সম্পর্কের মাঝে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি করে।”
“জ্ঞানী ব্যক্তিরা সাধারণত কম কথা বলেন, কারণ তাদের বলার মতো অনেক গভীর কথা থাকে।”
“অতিরিক্ত বাচালতা অনেক সময় অন্যের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।”
“মনের ভাবনাকে গুছিয়ে অল্প কথায় প্রকাশ করাই বুদ্ধিমত্তার পরিচয়।”
“শব্দের চেয়ে নীরবতার ভাষা অনেক সময় বেশি শক্তিশালী ও গভীর হয়।”
“বেশি কথা বলার আগে ভাবো, শব্দগুলো কি শুধু শব্দই থাকবে, নাকি কারো হৃদয়ে আঘাত করবে?”
“নীরবতা কখনো কখনো সবচেয়ে বড় জবাব, বেশি কথা বলে তা নষ্ট করো না।”
“যে বেশি বলে, সে কম বোঝে; যে কম বলে, সে অনেক কিছু জানেন।”
“কথার ওজন শব্দে নয়, অর্থে… তাই অল্প কথায় গভীরতা রাখো।”
“বেশি কথা বলার চেয়ে একটু চুপ থাকা শেখো, কারণ নীরবতাই অনেক সময় সবচেয়ে বড় কথা বলে।”
“কথার ফাঁকে ফাঁকে নিজেকে হারিয়ে ফেলো না, মৌনতাই তোমার শ্রেষ্ঠ বন্ধু হতে পারে।”
“যে কথার মূল্য নেই, তা বলা থেকে বিরত থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ।”
“অনেক কথা বলেই মানুষ নিজের অজান্তেই নিজের সম্মান কমিয়ে ফেলে।”
“বাক্পটুতা দেখাতে গিয়ে কখনো সত্যিকারের বুদ্ধিমান হওয়ার সুযোগ হারিও না।”
“বেশি কথা বলার মানে এই না যে তুমি জ্ঞানী, কম কথা বলেও জ্ঞান প্রকাশ পায়।”
“কথার আগুনে পুড়ে যায় সম্পর্ক, তাই শব্দের আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে শেখো।”
“যে নিজের জিভকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, সে নিজের জীবনকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।”
“বেশি কথা বলার চেয়ে একটি সুন্দর নীরবতা সম্পর্ককে আরও গভীর করে।”
“কথার ফাঁদে পড়ে অনর্থক সময় নষ্ট করো না, কারণ সময়ই জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ।”
“যে কথাগুলো বললে হৃদয় হালকা হয়, শুধু সেগুলোই বলো… বাকিগুলো নীরবতায় ঢেকে দাও।”

