বিশ্বাস বা ঈমান ইসলামের অন্যতম ভিত্তি। একজন মুসলমানের জীবনে ঈমানই হচ্ছে তার আত্মিক শক্তির মূল উৎস। যখন জীবন কঠিন হয়ে যায়, চারপাশ অন্ধকারে ঢেকে যায়—তখন আল্লাহর প্রতি দৃঢ় বিশ্বাসই মানুষকে শান্তি, সাহস ও ধৈর্য দেয়। ইসলামিক উক্তিগুলো আমাদের মনে করিয়ে দেয়, কিভাবে আল্লাহর ওপর নির্ভর করলেই জীবনের সব পরীক্ষায় সফল হওয়া যায়। নিচে আমরা শেয়ার করছি হৃদয়ছোঁয়া ইসলামিক উক্তি, যা বিশ্বাসকে আরও মজবুত করতে সাহায্য করবে।
“ঈমান হলো আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা রাখা, তাঁর রহমতের আশা করা এবং তাঁর শাস্তিকে ভয় করা।” — হাদিস
“যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখে, আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট।” — কুরআন (৬৫:৩)
“সত্যিকার ঈমানদার সে, যে আল্লাহর উপর ভরসা রাখে এবং তাঁর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকে।” — হাদিস
“ঈমানের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা হলো বিপদে ধৈর্য ধরা এবং সুখে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।” — ইসলামিক শিক্ষা
“আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখো, কারণ তিনি বিশ্বাসীদেরকে কখনো নিরাশ করেন না।” — কুরআন (৩:১৬০)
“যখন তোমার ঈমান দুর্বল হয়ে যায়, তখন বেশি বেশি আল্লাহর জিকির করো, তাহলে তোমার হৃদয় শান্তি পাবে।” — হাদিস
“বিশ্বাস হলো এমন একটি গাছ, যার শিকড় হলো ইসলাম, ডালপালা হলো আমল এবং ফল হলো সুখ ও শান্তি।” — ইসলামিক উপমা
“যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর পূর্ণ বিশ্বাস রাখে, তার জন্য পৃথিবীর কোনো শক্তি ভয়ের কারণ নয়।” — কুরআন (৩:১৭৩)
“ঈমানের সবচেয়ে সুন্দর প্রকাশ হলো অপরের কল্যাণ কামনা করা এবং সত্যের পথে অবিচল থাকা।” — হাদিস
“আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখো এবং নিজের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাও, কারণ তিনি অবশ্যই তোমার শ্রমের ফল দেবেন।” — ইসলামিক শিক্ষা
“যে আল্লাহর উপর ভরসা করে, আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট হয়ে যান।”— (সূরা আত-তালাক: ৩)
“আল্লাহ কখনো কোনো আত্মার উপর তার সামর্থ্যের বাইরে দায়িত্ব দেন না।”— (সূরা বাকারা: ২৮৬)
“সবকিছু হারিয়ে ফেললেও যদি ঈমান ঠিক থাকে, তবে কিছুই হারায়নি।”
“আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস থাকলেই হার মানার সুযোগ নেই, কারণ তিনি সবকিছুর উপরে।”
“তুমি যখন আল্লাহকে নিজের সবকিছু বানিয়ে ফেলো, তখন আল্লাহ তোমাকে এমন কিছু দেন, যা তুমি কল্পনাও করোনি।”
“আল্লাহর উপর যে ভরসা রাখে, সে কখনোই একা থাকে না।”
“বিশ্বাস সেই আলো, যা অন্ধকারেও পথ দেখায়।”
“আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসই সবচেয়ে বড় শক্তি, যা সমস্ত বিপদে আপনাকে দৃঢ় রাখে।”
“যে ব্যক্তি ধৈর্য ও বিশ্বাস নিয়ে চলে, আল্লাহ তার জন্য উত্তম পথ খুলে দেন।”
“তোমার পরিকল্পনা ব্যর্থ হলেও মনে রেখো, আল্লাহর পরিকল্পনাই সবচেয়ে উত্তম।”— (সূরা আল-ইমরান: ১৫৯)
প্রকৃত বিশ্বাস (ঈমান) হলো সেই দৃঢ় স্বীকৃতি যা অন্তর দিয়ে সত্যকে গ্রহণ করে, মুখ দিয়ে তার সাক্ষ্য দেয় এবং কর্মের মাধ্যমে তার প্রতিফলন ঘটায়।
আল্লাহ্র প্রতি বিশ্বাস স্থাপনই সকল সৎকর্মের মূল উৎস। যে ব্যক্তির ঈমান যত মজবুত, তার জীবন তত বেশি কল্যাণময় ও সুন্দর হয়।
বিশ্বাস (ঈমান) হলো মুমিনের জন্য সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। এই সম্পদ তাকে দুনিয়া ও আখিরাতের সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে সাহায্য করে।
যারা আল্লাহ্র উপর বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহা প্রতিদান। ঈমানই মুক্তির পথ দেখায়।
বিশ্বাস (ঈমান) মুমিনের অন্তরে প্রশান্তি এনে দেয় এবং জীবনের কঠিন পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধারণের শক্তি যোগায়।
রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তিই পূর্ণ মুমিন, যার চরিত্র উত্তম এবং যার কাছ থেকে অন্য মুসলমানগণ তাদের জান ও মালের ব্যাপারে নিরাপদ থাকে।” বিশ্বাস শুধু অন্তরের বিষয় নয়, আচরণেরও অংশ।
আল্লাহ্র প্রতি বিশ্বাস মুমিনকে সকল প্রকার ভয় ও উদ্বেগমুক্ত করে। কারণ সে জানে যে সকল কিছুর নিয়ন্ত্রণ একমাত্র তাঁর হাতে।
বিশ্বাস (ঈমান) মুমিনকে শেখায় কিভাবে আল্লাহর উপর ভরসা করতে হয় এবং কিভাবে তাঁর ফয়সালার উপর সন্তুষ্ট থাকতে হয়।
যে ব্যক্তি আন্তরিকভাবে আল্লাহ্র উপর বিশ্বাস স্থাপন করে, আল্লাহ্ তার জন্য যথেষ্ট। বিশ্বাসী কখনো হতাশ হয় না।
বিশ্বাস (ঈমান) মুমিনকে আখিরাতের জীবনের জন্য প্রস্তুত করে তোলে এবং দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী জীবনের মোহ থেকে রক্ষা করে।

