গাছ শুধু আমাদের চারপাশের সবুজ আবরণ নয়, এরা প্রকৃতির নীরব কবি। তাদের প্রতিটি শাখা-প্রশাখা যেন এক একটি কবিতার পঙ্ক্তি, যা প্রকৃতির সৌন্দর্য ও জীবনের গভীরতাকে তুলে ধরে। নিচে ১৫টি এমন কবিতার চরণ উপস্থাপন করা হলো, যা গাছের মহিমা ও প্রকৃতির সাথে তার নিবিড় সম্পর্ক অনুভব করাতে সাহায্য করবে:
সবুজের সমারোহ, প্রকৃতির নীরব গান, / দিগন্তজুড়ে বৃক্ষ, জুড়ায় মন প্রাণ।
শেকড় গভীরে গাঁথা, দাঁড়িয়ে অটল বিশ্বাসে, / ঝড়-ঝঞ্ঝায়ও বাঁচে, আপন মহিমার রসে।
পাতার সবুজ নাচে, দখিনা বাতাস বয়, / জীবনের কলতান যেন, বৃক্ষের ভাষায় কয়।
ফুলের সৌরভে ভরে, ভোরের শিশির ভেজা, / প্রকৃতির এই রূপ যেন, স্বপ্নিল এক সাজা।
ফলভারে নত শাখা, দান করে নিঃস্বার্থ, / মানবজীবনের বন্ধু, এ তো পরম সার্থ।
পাখির কলকাকলিতে, মুখরিত ডালে ডালে, / জীবনের আনন্দধারা, বৃক্ষশাখায় ঢালে।
ছায়া দেয় ক্লান্ত পথিক, রৌদ্রতপ্ত দিনে, / শীতল পরশ বুলিয়ে, জুড়ায় ব্যথিত মনে।
সময়ের সাক্ষী হয়ে, দাঁড়িয়ে প্রাচীন বট, / কত ইতিহাসের পাতা, তার স্মৃতিপটে রট।
বীজ হতে অঙ্কুরিত, জীবনের জয়গান, / ক্ষুদ্র শুরুতেও বাঁচে, অনন্ত সম্ভাবনা।
বনের গভীরে চলে, সবুজ পাতার খেলা, / প্রকৃতির এই নীরবতা, যেন এক রূপকথা।
কাঠ দেয়, অক্সিজেন দেয়, বাঁচার অমূল্য দান, / বৃক্ষের ঋণ শোধ করা, সাধ্যের অতীত জ্ঞান।
ঋতু বদলের রঙে, সেজে ওঠে বার বার, / প্রকৃতির এই নাট্যলীলা, মুগ্ধ করে সবার।
শুকনো পাতা ঝরে যায়, আসে নতুন পাতা, / জীবনচক্রের এই ধারা, শেখায় নবীন কথা।
মানুষের পদস্পর্শে, কখনো ব্যথিত হয়, / তবুও নীরবে সহে, কিছু না তো কয়।
এসো মিলি একসাথে, করি বৃক্ষরোপণ, / সবুজ পৃথিবী গড়ি, বাঁচাই ধরণী পণ।

