গরমের তীব্রতা যখন জীবনকে কষ্টদায়ক করে তোলে, তখন একজন মু’মিনের করণীয় হলো ধৈর্য ধরা, আল্লাহর ওপর ভরসা রাখা এবং সবর করা। ইসলাম আমাদের শিখিয়েছে, প্রতিটি কষ্টেই রয়েছে সওয়াবের সুযোগ, আর প্রতিটি গরম দিনের মাঝেও লুকিয়ে থাকে আখিরাতের শিক্ষা।
এই গরমেও যদি আমরা আল্লাহর যিকির, নামাজ আর ইবাদতে মন দিই, তাহলে এই কষ্টটাও হতে পারে জান্নাতের পথ। তাই আসুন, গরমের মাঝেও ঈমানী অনুভূতি জাগিয়ে তুলি কিছু ইসলামিক ক্যাপশনের মাধ্যমে।
গরম নিয়ে কিছু ইসলামিক ক্যাপশন
এই গরমের উত্তাপ শুধু শরীর পোড়ায় না, বরং স্মরণ করিয়ে দেয়—জাহান্নামের আগুন কত ভয়াবহ হতে পারে। হে আল্লাহ, আমাদের রক্ষা করুন সেই চিরস্থায়ী আগুন থেকে।
যখন সূর্য মাথার উপর দগদগে হয়ে জ্বলে, তখন মনে পড়ে রাসূল (সা.) এর সেই কথা—“জাহান্নামের আগুন এই দুনিয়ার আগুনের চেয়ে ৭০ গুণ বেশি গরম।” আল্লাহ তুমি আমাদের হিফাজত করো।
গরমে একটু কষ্ট হলে পানি দিয়ে আরাম মেলে, কিন্তু জাহান্নামের আগুনে তো পানি থাকবে না, থাকবে শুধু আফসোস। হে আল্লাহ, তুমি আমাদের জান্নাতের পথ দেখাও।
গরমের দিনে পানি একরকম রহমত। একটু চেয়ে দেখো—এই পানিটাও আল্লাহর দান। শুকরিয়া আদায় করো, কারণ অনেকের জন্য এইটুকু ঠাণ্ডাও নেই।
যেই গরমে আমরা কষ্ট পাচ্ছি, এই গরমও একদিন থেমে যাবে। কিন্তু জাহান্নামের আগুন থামবে না কখনো। হে আল্লাহ, আমাদের তাওবা কবুল করো।
গরম যতই লাগুক, এটা দুনিয়ার কষ্ট। একে সহ্য করে ধৈর্য ধরলেই আল্লাহর রহমত লাভ হয়। এই ধৈর্যটাও ইবাদতের অংশ।
এই দুনিয়ার গরম শরীর পোড়ায়, কিন্তু পাপের আগুন আত্মাকে জ্বালায়। আসুন, তাওবার আগুনে পাপ পুড়িয়ে ফেলি, যেন জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচা যায়।
প্রচণ্ড গরমে মাথা ঘুরে গেলে একটু ছায়া খুঁজি—একদিন তো সেই দিন আসবে, যেদিন একমাত্র আল্লাহর আরশের ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়া থাকবে না।
এই গরমের মাঝে একটু ঠান্ডা বাতাস যেভাবে স্বস্তি দেয়, তেমনি আল্লাহর রহমতও আমাদের অন্তরের গরম কষ্টকে প্রশান্তি দেয়। তাই বেশি বেশি দোয়া করো।
গরমে পুড়তে পুড়তে যখন কষ্ট লাগে, তখন ভাবো—এই কষ্টও আল্লাহর পক্ষ থেকে, যাতে তুমি তাঁকে বেশি স্মরণ করো, আর নিজের গুনাহ ভুলে না যাও।
“গরমে পানি পান করার সময় বলুন: ‘আলহামদুলিল্লাহ’ – কারণ আল্লাহ সেই বান্দাকে ভালোবাসেন যে পানির পর শুকরিয়া আদায় করে”
“গরমের দিনে গরীবকে পানি পান করানো বা ছায়া দান করা সাদাকাহ – ছোট্ট এই আমলই হতে পারে আপনার মুক্তির কারণ”
“গরমে রোজা রাখা কষ্টকর হলেও রাসূল (সা.) বলেছেন: ‘গরমের রোজা হচ্ছে জিহাদ সমতুল্য'”
“গরমের সময় গাছের নিচে ছায়া দানকারীকে আল্লাহ বিশেষ রহমত দেন – একটি গাছ লাগান, সাওয়াব পেতে থাকুন”
“গরমে যখন কষ্ট হয়, তখন দোয়া পড়ুন: ‘আল্লাহুম্মা আজিরনি মিন হাররিন নার’ – হে আল্লাহ! আমাকে জাহান্নামের উত্তাপ থেকে রক্ষা করুন”
“গরমের দিনে কর্মীদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করুন – রাসূল (সা.) গরমকালে কর্মীদের কাজের সময় কমিয়ে দিতেন”
“গরমে ঘেমে যাওয়া শরীর যখন অজু করে, তখন প্রতিটি বিন্দু পানির সাথে গুনাহও ঝরে পড়ে – এই নিয়তে ধৈর্য্য ধরুন”
“গরমের কষ্টে যখন ধৈর্য্য হারাবেন, মনে রাখবেন – এই ঋতুর পরিবর্তনই আল্লাহর কুদরতের নিদর্শন”

