একটি দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে তার যুব সমাজের উপর। আজকের তরুণরাই আগামী দিনের নেতা, উদ্ভাবক এবং সমাজ সংস্কারক। তাদের উদ্যম, সাহস এবং নতুনত্বের আকাঙ্ক্ষা সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রধান চালিকাশক্তি। যুব সমাজের অমিত সম্ভাবনা এবং তাদের গুরুত্ব নিয়ে গভীর ভাবনার প্রকাশ ঘটেছে বিভিন্ন মনীষীর উক্তিতে। এই উক্তিগুলো তরুণদের অনুপ্রাণিত করবে এবং তাদের মধ্যে দায়িত্ববোধ জাগিয়ে তুলবে। নিচে যুব সমাজ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ উক্তি উপস্থাপন করা হলো:
এখানে আপনি পাবেন:
যুব সমাজ নিয়ে কিছু উক্তি
“যুব সমাজ একটি জাতির হৃদয়। তারা জেগে থাকলে জাতি বেঁচে থাকে, আর যদি তারা ঘুমিয়ে যায়, তবে জাতি ধ্বংসের মুখে পতিত হয়।”
“যুব সমাজ শুধু আগামীর আশা নয়, তারা বর্তমানের শক্তি। যদি তারা সৎ পথে চলে, তবে আগামী ভবিষ্যৎ হবে আলোকিত ও সমৃদ্ধ।”
“একটি সমাজকে পরিবর্তন করতে হলে প্রথমে পরিবর্তন আনতে হয় যুবকদের মাঝে। কারণ তারা-ই ভবিষ্যতের চালক, নেতৃত্বের প্রতীক।”
“যুবকেরা যদি স্বপ্ন দেখে, তবে একটি নতুন পৃথিবী গড়ে উঠতে বাধ্য। কারণ সত্যিকার পরিবর্তন আসে সাহসী স্বপ্নদ্রষ্টাদের হাত ধরেই।”
“যুব সমাজ যদি দায়িত্বশীল হয়, তাহলে পুরো জাতি উন্নতির সিঁড়ি বেয়ে উঠে যেতে পারে। কিন্তু তারা যদি উদাসীন হয়, জাতিও অন্ধকারে হারিয়ে যায়।”
“যুবকদের শুধু চাকরি নয়, চেতনা চাই। চিন্তার স্বাধীনতা আর উদ্যোগের স্পৃহা থাকলে তারাই জাতির কান্ডারি হয়ে উঠতে পারে।”
“একজন যুবকের কলম, চিন্তা আর সৎ সাহস অনেক সময় বন্দুকের চেয়েও বেশি শক্তিশালী হতে পারে।”
“যে জাতির যুবক স্বপ্ন দেখতে জানে, সে জাতিকে কেউ দমিয়ে রাখতে পারে না।”
“যুব সমাজ যখন আত্মবিশ্বাসী, তখন তার সামনে কোনো বাধাই টিকতে পারে না। তাদের হাতে থাকে সম্ভাবনার চাবিকাঠি।”
“যুবক মানে শুধু বয়স নয়, একটি মানসিকতা। যে নিজের স্বপ্নে বিশ্বাস রাখে, পরিশ্রম করে এবং সমাজের ভালো চায়— সে-ই প্রকৃত যুবক।”
“যুব সমাজকে শুধু প্রযুক্তিতে নয়, নীতিতে, চরিত্রে ও মানবিকতায় গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই এগিয়ে যাবে দেশ।”
“একজন সৎ যুবক হাজার দুর্নীতিবাজের জন্য ভয়ংকর। কারণ তার নীতি, চিন্তা ও সাহসই সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার।”
“যুবকের হাতে যদি বই ও স্বপ্ন থাকে, তাহলে তার হাতেই গড়ে ওঠে একটি সভ্য জাতির ভবিষ্যৎ।”
“যুব সমাজ যেন কেবল অভিযোগ না করে, বরং নিজেদের মধ্যে আলো জ্বালিয়ে অন্যদের পথ দেখায়।”
“যুবকেরা যখন দেশপ্রেমে জাগ্রত হয়, তখনই জাতির রক্তে প্রবাহিত হয় বিজয়ের আত্মা।”
“তোমরা তরুণ, তোমরা নির্ভীক, তোমরা ভবিষ্যতের কান্ডারী। তোমাদের হাতেই রচিত হবে নতুন দিনের ইতিহাস।” – বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
“যুবক মানেই নতুন দিনের আলো, পুরনো জীর্ণতাকে সরিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সাহস।” – কাজী নজরুল ইসলাম
“তরুণদের স্বপ্ন দেখতে দাও, সেই স্বপ্নই একদিন সত্যি হবে এবং সমাজকে নতুন পথে চালিত করবে।” – এ পি জে আব্দুল কালাম
“যুব সমাজ যদি জেগে ওঠে, তাহলে কোনো অপশক্তিই তাদের রুখতে পারবে না। তাদের সম্মিলিত শক্তি পাহাড়কেও নাড়িয়ে দিতে পারে।” – স্বামী বিবেকানন্দ
“তোমাদের প্রত্যেকের মধ্যে অনন্ত সম্ভাবনা লুকানো আছে। সেই সম্ভাবনাকে জাগিয়ে তোলো এবং বিশ্বকে দেখিয়ে দাও তোমরা কী করতে পারো।” – স্বামী বিবেকানন্দ
“তারুণ্য হলো সেই সময় যখন মানুষ সবচেয়ে বেশি শক্তি ও সাহস ধারণ করে। এই শক্তিকে সঠিক পথে চালিত করতে পারলে সমাজ উপকৃত হবে।” – জন এফ. কেনেডি
“যুবকদের উচিত প্রশ্ন করা, যুক্তি দিয়ে বিচার করা এবং নিজেদের বিবেক অনুযায়ী পথ চলা। অন্ধ অনুকরণ সমাজকে স্থবির করে দেয়।” – আলবার্ট আইনস্টাইন
“তোমরা শুধু বর্তমানের নাগরিক নও, তোমরা ভবিষ্যতের স্থপতি। তোমাদের কাজের উপর নির্ভর করছে আগামী পৃথিবীর রূপরেখা।” – অজানা
“তারুণ্যের উদ্যম এবং প্রবীণদের অভিজ্ঞতা – এই দুয়ের সমন্বয়েই একটি শক্তিশালী সমাজ গড়ে ওঠে।” – অজানা
“মনে রেখো, প্রতিটি যুবকের মধ্যেই পরিবর্তন আনার বীজ লুকানো আছে। প্রয়োজন শুধু সেই বীজকে পরিচর্যা করা এবং তার বিকাশের সুযোগ দেওয়া।” – অজানা
যুব সমাজ নিয়ে ইসলামিক উক্তি
“হে যুবক! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, যেখানেই তোমরা থাকো। এবং মন্দ কাজের পরে ভালো কাজ করো, যা মন্দকে মুছে দেবে। আর মানুষের সাথে উত্তম আচরণ করো।” – তিরমিযী
“পাঁচটি জিনিস আসার আগে পাঁচটি জিনিসের কদর করো: তোমার যৌবন আসার আগে তোমার বার্ধক্যের, তোমার সুস্থতা আসার আগে তোমার অসুস্থতার, তোমার দারিদ্র্য আসার আগে তোমার প্রাচুর্যের, তোমার অবসর আসার আগে তোমার ব্যস্ততার এবং তোমার মৃত্যু আসার আগে তোমার জীবনের।” – মুস্তাদরাক হাকিম
“আল্লাহ সেই যুবককে ভালোবাসেন যে তার যৌবন আল্লাহর আনুগত্যে অতিবাহিত করে।” – (বিভিন্ন ইসলামিক গ্রন্থে এই অর্থের উক্তি পাওয়া যায়)
“তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম যে তার যৌবনকালে ইবাদতে মশগুল থাকে।” – (বিভিন্ন ইসলামিক মনীষীর উক্তি থেকে ভাবানুবাদ)
“প্রত্যেক আদম সন্তান কিয়ামতের দিন পাঁচটি বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে: তার জীবন কিভাবে শেষ করেছে, তার যৌবন কিভাবে অতিবাহিত করেছে, তার সম্পদ কোথা থেকে উপার্জন করেছে এবং কোথায় ব্যয় করেছে, এবং তার জ্ঞান অনুযায়ী কতটুকু আমল করেছে।” – তিরমিযী
“যুবকদের উচিত জ্ঞান অর্জন করা এবং সেই অনুযায়ী আমল করা। কারণ জ্ঞানবিহীন আমল পথভ্রষ্টতার কারণ হতে পারে।” – (বিভিন্ন ইসলামিক পণ্ডিতের উপদেশ)
“তোমরা সৎ সঙ্গী নির্বাচন করো। কারণ সঙ্গী ভালো হলে সে তোমাকে ভালো পথে পরিচালিত করবে, আর খারাপ হলে খারাপ পথে টেনে নিয়ে যাবে।” – (হাদিসের মূলভাব)
“যুবকদের উচিত ফিতনা ও পাপাচার থেকে নিজেদের রক্ষা করা এবং আল্লাহর পথে দৃঢ় থাকা।” – (কুরআনের বিভিন্ন আয়াত ও হাদিসের মূলভাব)
“ইসলামে তারুণ্যকে আল্লাহর পথে জিহাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে, যেখানে একজন যুবক তার প্রবৃত্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে এবং আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টা করে।” – (ইসলামিক চিন্তাবিদদের ব্যাখ্যা)
“যুবকদের উচিত তাদের সময়কে মূল্যবান জ্ঞান অর্জন, সৎকর্ম সম্পাদন এবং সমাজের কল্যাণে কাজে লাগানো। কারণ এই সময়টি আল্লাহর দেওয়া বিশেষ অনুগ্রহ।” – (বিভিন্ন ইসলামিক উপদেশের সারসংক্ষেপ)

