জুলুম বা অন্যায় কোনো সভ্য সমাজে গ্রহণযোগ্য নয় — এটি মানবাধিকারের অবমূল্যায়ন এবং ন্যায়ের বিপরীত অবস্থান। জুলুম শুধু শারীরিক কষ্ট নয়, বরং মানসিক, সামাজিক এবং নৈতিক ক্ষতিও তৈরি করে। ইসলামসহ পৃথিবীর সব ধর্ম ও দর্শন অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। কুরআন-হাদীস, মনীষীদের বাণী এবং দার্শনিক উক্তিতে বারবার উঠে এসেছে জুলুমের ভয়াবহতা এবং এর প্রতিকারের গুরুত্ব। এই পোস্টে আপনি পাবেন কিছু শক্তিশালী ও বাস্তবভিত্তিক জুলুম নিয়ে উক্তি, যা অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপনার কণ্ঠকে করবে আরও দৃঢ়।
এখানে আপনি পাবেন:
জুলুম নিয়ে উক্তি
“জুলুমের ইতিহাস যত বড়ই হোক, প্রতিরোধের গল্পগুলো আরও বড় হয়।”
“অত্যাচারীরা ভয় পায় সত্যিকারের নীরব প্রতিরোধে।”
“যেখানে মানুষ জুলুম দেখে চুপ থাকে, সেখানেই অন্যায় ফুলে-ফেঁপে ওঠে।”
“জুলুম বেশি দিন টিকে থাকে না, কারণ অন্যায়ের পায়ের তলায় কখনো শক্ত মাটি থাকে না।”
“অন্যায়ের বিরুদ্ধে না দাঁড়ালে, একদিন তুমি নিজেও সেই অন্যায়ের শিকার হবে।”
“জুলুমকারীর শক্তি অন্যায়ে নয়, নীরব দর্শকের ভয়ে টিকে থাকে।”
“জুলুম যত বড়ই হোক, একটি সাহসী সত্য তাকে ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট।”
“অত্যাচারের শেকড় গভীরে গেলেও, একদিন ন্যায়বিচারের ঝড়ে তা উপড়ে ফেলা হয়।”
“জুলুমের সময় নীরব থাকা মানে অপরাধীর পাশে দাঁড়ানো।”
“সত্য কখনো জুলুমের কাছে হার মানে না, সময় তাকে জয়ী করবেই।”
“যে অন্যায় দেখে চুপ থাকে, সে অপরাধীর থেকেও বড় অপরাধী।”
“জুলুমের ইতিহাসে শক্তিশালী হয়েছে যারা, তাদের পতনও হয়েছে সবচেয়ে করুণভাবে।”
জুলুম নিয়ে ইসলামিক উক্তি
“আল্লাহ জালিমদেরকে কখনোই ভালবাসেন না।”— (সূরা আলে ইমরান: ৫৭)
“অন্যায় করো না, কারণ অন্যায় কিয়ামতের অন্ধকার।”— (সহীহ মুসলিম)
“জুলুম করলে সে জুলুম তোমার দিকেই ফিরে আসবে।”— (সূরা আনআম: ১৬০)
“যে ব্যক্তি অপরকে কষ্ট দেয়, সে যেন নিজেকে আগুনে নিক্ষেপ করে।”— (তিরমিযি)
“মজলুমের অভিশাপ থেকে বাঁচো, কারণ তার আর আল্লাহর মাঝে কোনো পর্দা নেই।”— (বুখারি)
“যে অন্যায় দেখে তা শক্তি দিয়ে প্রতিরোধ করো, না পারলে মুখে বলো, তাও না পারলে মনে ঘৃণা করো—এটাই ঈমানের দুর্বলতম স্তর।”— (সহীহ মুসলিম)
“জুলুম করা যেমন গুনাহ, তেমনি জুলুম সহ্য করাও দুর্বলতা নয়—বরং সহ্যকারীর জন্য রয়েছে বড় প্রতিদান।”— (ইবনে মাজাহ)
“আল্লাহ দেরি করেন, কিন্তু অবহেলা করেন না।”— (সহীহ হাদীস, জালিমদের বিষয়ে)
“অন্যায়ের বিরুদ্ধে চুপ থাকা মানে জুলুমকে প্রশ্রয় দেয়া।”— (ইসলামী দৃষ্টিকোণ)
“আল্লাহ যাকে সাহায্য করেন, দুনিয়ার কোনো জালিম তাকে পরাজিত করতে পারে না।”— (সূরা হজ: ৩৮)
জুলুম নিয়ে স্ট্যাটাস
✊ অন্যায় দেখেও চুপ থাকা মানে নিজেকেই জুলুমের শরিক বানিয়ে ফেলা।
🔥 জুলুম যতই প্রবল হোক, সত্যের সামনে একদিন ধসে পড়বেই।
⚖️ অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোই হচ্ছে প্রকৃত সাহসের নাম।
🕊️ নীরব প্রতিরোধই একদিন জুলুমকারীর সর্বনাশের কারণ হবে।
🗣️ জুলুমের বিরুদ্ধে কথা বলা কোনো অপরাধ নয়, এটা তোমার অধিকার।
🚫 যে জুলুম সহ্য করে, সে অন্যায়ের শিকলেই নিজেকে বাঁধে।
🧱 অন্যায় যতই শক্তপোক্ত হোক, ন্যায়ের আঘাতে তা একদিন ধ্বসে পড়ে।
🌪️ জুলুমের আঘাতে নত হওয়া নয়, প্রতিবাদের ঝড়ে দাঁড়িয়ে থাকা দরকার।
🔗 নীরবতা অন্যায়ের সবচেয়ে বড় শক্তি— ভেঙে দাও সেই শিকল।
🌟 জুলুমের রাত যতই দীর্ঘ হোক, সুবহে সাদিক একদিন হবেই।
জুলুম নিয়ে ক্যাপশন
✊ অন্যায়ের বিরুদ্ধে চুপ থাকা মানে, জুলুমকারীর হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া।
🔥 জুলুমকারীর শক্তি অন্যায়ে নয়, ভুক্তভোগীর নীরবতায় লুকিয়ে থাকে।
⚖️ সত্যকে জুলুমের নিচে চাপা দেওয়া যায়, কিন্তু দমন করা যায় না।
🚫 অত্যাচারকে সহ্য করা নয়, রুখে দাঁড়ানোই প্রকৃত প্রতিবাদ।
🗣️ জুলুমের বিরুদ্ধে উচ্চস্বরে বলা প্রতিটি কথা, পরিবর্তনের প্রথম ধাপ।
🕊️ অন্যায়ের কাছে মাথা নত করো না, সত্যের পাশে দাঁড়াও।
🔗 জুলুমের শিকল ভাঙার সাহসই একজন মানুষকে বীর করে তোলে।
🌪️ নীরবতা অন্যায়ের খাদ্য, প্রতিবাদই তার মৃত্যুদণ্ড।
🧱 জুলুমের দেয়াল যতই উঁচু হোক, প্রতিবাদের হাতুড়িতে তা ভেঙে পড়বেই।
🌟 জুলুমের রাত শেষ হলেও, সত্যের সূর্য উঠবেই।
উপসংহার
ইসলামে জুলুম বা অন্যায় করা চরম গুনাহ। কুরআন-হাদীসে বহুবার জালিমদের বিরুদ্ধে সতর্কতা উচ্চারিত হয়েছে। মজলুমের দোয়া আল্লাহ্ সরাসরি কবুল করেন, তাই আমাদের উচিত জুলুম থেকে বাঁচা এবং অন্যের উপর অত্যাচার না করা।

