আজ আমার মনটা খুব ভারী। মা অসুস্থ… শয্যাশায়ী। তার দুর্বল হাতটি ধরে বসে থাকতে থাকতে মনে হলো—জীবনে মায়ের চেয়ে বড় সম্পদ আর কী আছে? ইসলাম আমাদের শেখায়, মায়ের পদতলে জান্নাত। কিন্তু যখন সেই মা-ই অসুস্থ, শয্যাশায়ী, তখন কী করব? কীভাবে ধৈর্য ধারণ করব? কীভাবে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইব?
এই মুহূর্তে আমার হৃদয়ের কথাগুলোই শেয়ার করছি—মায়ের অসুস্থতা নিয়ে কিছু ইসলামিক স্ট্যাটাস, যেগুলো শুধু লিখিত বাক্য নয়, বরং আমার আবেগের ছোঁয়া আছে এতে। আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে মায়ের সেবা করার তাওফিক দেন, আমিন…
“মা যখন অসুস্থ, তখন পৃথিবীটা যেন থমকে যায়… মনে পড়ে যায় রাসূল (ﷺ)-এর সেই বাণী—’মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের জান্নাত।’ কিন্তু আজ সেই মা-ই শয্যাশায়ী… আল্লাহ, তুমি তাকে সুস্থ করে দাও।”
“মায়ের জ্বর দেখে যখন নিজের বুকটা কেঁপে ওঠে, তখন শুধু এই দোয়াটি বারবার পড়ি—’আল্লাাহুম্মা রব্বান-নাস, আদহাবিল-বাস, ওয়াশফি আন্তাশ-শাফি…’ (হে আল্লাহ! মানুষের রব, রোগ দূর করো, আরোগ্য দাও, তুমিই আরোগ্য দানকারী…)”
“মায়ের জন্য কাঁদতে কাঁদতে মনে হলো—সত্যিই তো, ‘মায়ের দুআ সরাসরি আল্লাহর দরবারে পৌঁছে যায়।’ তাহলে আজ আমি কেন মায়ের পাশে বসে কান্না জমিয়ে রাখব না? কেন তার হাত ধরে দোয়া করব না?”
“মা যখন দুর্বল কণ্ঠে বলে, ‘বাছা, আমার জন্য দোয়া করো…’—সেই মুহূর্তে পৃথিবীর সব সম্পদ অর্থহীন মনে হয়। রাসূল (ﷺ) বলেছেন, ‘মা-বাবার সন্তুষ্টিতে আল্লাহ সন্তুষ্ট।’ আল্লাহ, আমার মাকে সুস্থ রাখো।”
“মায়ের অসুস্থতায় কোরআনের আয়াতগুলো যেন জীবন্ত হয়ে ওঠে—’وَإِذَا مَرِضْتُ فَهُوَ يَشْفِينِ’ (আর যখন আমি অসুস্থ হই, তিনিই আমাকে সুস্থ করেন)। আল্লাহ, তুমিই একমাত্র শিফা দাতা।”
“মায়ের শিয়রে বসে সুরা ইয়াসিন পড়তে পড়তে চোখে পানি চলে আসে… কারণ, এই সুরা যে রোগীর কাছে পড়া হয়, আল্লাহ তাতে বারাকাহ দেন। মা, তুমি সুস্থ হয়ে উঠো, আমিন…”
“মায়ের জন্য সদকা করলাম আজ… কারণ, নবীজি (ﷺ) বলেছেন, ‘সদকা রোগ দূর করে ও দীর্ঘ জীবন দান করে।’ আল্লাহ, আমার এই ছোট্ট আমল কবুল করে নাও।”
“মায়ের কষ্ট দেখে যখন নিজেকে অসহায় মনে হয়, তখন শুধু এই কথাটি মনে করি—’আল্লাহ পরীক্ষা নেন, কিন্তু কখনোই সাধ্যের বাইরে নেন না।’ মা, তুমি সুস্থ হবে ইনশাআল্লাহ…”
“মায়ের জ্বর কমেনা দেখে রাতজাগা পালা শুরু হলো… কিন্তু এই রাতজাগা কি না ইবাদত? রাসূল (ﷺ) বলেছেন, ‘মায়ের সেবাই হলো সবচেয়ে বড় জিহাদ।'”
“মায়ের মুখে ‘ওয়াই… ব্যথা…’ শুনে যখন হৃদয়টা ভেঙে যায়, তখন শুধু এই দোয়াটি পড়ি—’হে আল্লাহ! মায়ের ব্যথা তুমি দূর করে দাও, তুমিই সর্বশ্রেষ্ঠ আরোগ্য দানকারী।'”
“মায়ের অসুস্থতায় ধৈর্য হারালে মনে পড়ে যায়—’إِنَّمَا يُوَفَّى الصَّابِرُونَ أَجْرَهُم بِغَيْرِ حِسَابٍ’ (নিশ্চয়ই ধৈর্যশীলদেরকে অগণিত সওয়াব দেওয়া হবে)। মা, তোমার জন্য আমি ধৈর্য ধরব ইনশাআল্লাহ।”
“মায়ের জন্য আজ বেশি বেশি ইস্তিগফার পড়ছি… কারণ, নবীজি (ﷺ) বলেছেন, ‘ইস্তিগফার রিজিক ও সুস্থতা বাড়ায়।’ আল্লাহ, আমার মায়ের সব গুনাহ মাফ করে তাকে সুস্থ করে দাও।”
“মায়ের শিয়রে বসে কালিমা পড়ছি… কারণ, এই কালিমাই তো মুমিনের শক্তি। মা, তুমি সুস্থ হলে আবার তোমাকে সাথে নিয়ে নামাজ পড়ব, আমিন…”
“মায়ের দিকে তাকিয়ে মনে হলো—’এই মা-ই তো সারা রাত জেগে আমার জ্বর ঠেকিয়েছে… আজ আমি তার জ্বর ঠেকাব কীভাবে?’ আল্লাহ, তুমিই তো সব কিছুর মালিক, মাকে সুস্থ করে দাও।”
“মায়ের জন্য আজ চোখের পানি ফেললাম… কিন্তু এই কান্না কি না দোয়া? নবীজি (ﷺ) বলেছেন, ‘দুই চোখের ফোটা এমন আছে যাকে আল্লাহ হারাম করেন না—এক. আল্লাহর ভয়ে কান্না, দুই. মা-বাবার জন্য কান্না।'”
“মা যখন অসুস্থ, তখন পৃথিবীটা যেন থমকে যায়… মনে পড়ে যায় রাসূল (ﷺ)-এর সেই বাণী—’মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের জান্নাত।’ কিন্তু আজ সেই মা-ই শয্যাশায়ী… আল্লাহ, তুমি তাকে সুস্থ করে দাও।”