ইসলামী বিশ্বাসে ‘মায়া’ শব্দটি সরাসরি সেই অর্থে ব্যবহৃত না হলেও, মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক, ভালোবাসা, স্নেহ এবং পার্থিব জীবনের আকর্ষণকে বোঝানোর জন্য বিভিন্ন ধারণা ও নীতি বিদ্যমান। এই অনুভূতিগুলো আল্লাহর সৃষ্টি এবং এর সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমেই মানুষ আধ্যাত্মিক উন্নতি লাভ করতে পারে। ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে মায়া ও হৃদয়ের বন্ধনকে কেন্দ্র করে ১৫টি গভীর উক্তি নিচে দেওয়া হলো:
মানুষের হৃদয়ের গভীরে যে ভালোবাসা ও টান আল্লাহ সৃষ্টি করে দিয়েছেন, তা এক বিশেষ রহমত; এর মাধ্যমে আমরা একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল হই।
মুমিনের বৈশিষ্ট্য হলো অপরের প্রতি দয়া ও স্নেহ প্রদর্শন করা; এই মায়া আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের একটি মাধ্যম।
পার্থিব জীবনের আকর্ষণ ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা ও দ্বীনের পথে অবিচলতাই মুমিনের আসল লক্ষ্য হওয়া উচিত।
পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের প্রতি মায়া ও ভালোবাসা ইসলামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ; এটি আল্লাহ প্রদত্ত সম্পর্কের মর্যাদা দান করে।
প্রতিবেশীর প্রতি সহানুভূতি ও তাদের প্রয়োজনে সাহায্য করা মুমিনের কর্তব্য; এই মায়া সমাজের বন্ধনকে দৃঢ় করে।
এতিম ও দুর্বলদের প্রতি সদয় হওয়া এবং তাদের প্রতি মায়া দেখানো রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর সুন্নত।
আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি ভালোবাসা ও তাদের কল্যাণে কাজ করা ঈমানের অঙ্গ; এই মায়া সমগ্র সৃষ্টিজগতের প্রতি আমাদের দায়িত্ববোধ শেখায়।
অতিরিক্ত পার্থিব মোহ ও মায়া মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে দূরে সরিয়ে দিতে পারে; তাই ভারসাম্যপূর্ণ জীবনযাপন করা জরুরি।
মুমিনদের পারস্পরিক সম্পর্ক যেন একটি দেহের মতো; একজনের কষ্টে অন্যজন ব্যথিত হয়—এটাই ইসলামের শিক্ষা।
আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য যে ভালোবাসা ও মায়া পোষণ করা হয়, তা আখিরাতের জন্য মূল্যবান সম্পদ।
সন্তানের প্রতি পিতামাতার স্নেহ ও মায়া আল্লাহর অসীম রহমতের একটি প্রকাশ।
স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান প্রদর্শন করা রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর আদর্শ; এই মায়া একটি সুখী পরিবার গঠনে সহায়ক।
অন্যের দোষত্রুটি ক্ষমা করা এবং তাদের প্রতি সহনশীল হওয়া মুমিনের চারিত্রিক গুণ; এটি পারস্পরিক মায়া বৃদ্ধি করে।
আল্লাহর পথে আহ্বানকারী ও সৎকাজের আদেশদানকারীর অন্তরে মানুষের জন্য কল্যাণ ও মায়া থাকা জরুরি।
জীবনের সকল ক্ষেত্রে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করা এবং অতিরিক্ত মায়া ও মোহ পরিহার করাই মুমিনের জন্য কল্যাণকর।

