ইসলামে মিথ্যা অপবাদ (বুহতান) অত্যন্ত গুরুতর গোনাহ। অপবাদ শুধু একজন ব্যক্তিকে মানসিকভাবে কষ্ট দেয় না, বরং সমাজেও বিভ্রান্তি ও অবিশ্বাসের বিষ ছড়িয়ে দেয়। কুরআন মাজিদে অপবাদকারীদের কঠোর শাস্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে এবং রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, অপবাদ দেওয়া এমন পাপ যা দুনিয়া ও আখিরাতে ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে। নিচে মিথ্যা অপবাদ নিয়ে কুরআন, হাদীস ও ইসলামিক জ্ঞানীদের গুরুত্বপূর্ণ উক্তিগুলো তুলে ধরা হলো।
ইসলামিক উক্তি: মিথ্যা অপবাদ নিয়ে
“যারা পরহেযগার নারীদের উপর অপবাদ দেয় এবং তা প্রমাণ করতে পারে না, তাদেরকে আশি বেত্রাঘাত কর এবং তাদের সাক্ষ্য আর কখনো গ্রহণ করো না।”— সূরা নূর: ৪
“যারা অপবাদ রটায়, তারা তোমাদের মধ্যেই একটি দল। তোমরা একে তোমাদের জন্য মন্দ মনে করো না; বরং এটা তোমাদের জন্য কল্যাণকর।”— সূরা নূর: ১১
“যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের প্রতি মিথ্যা অপবাদ দেয়, সে যেন জাহান্নামের আগুনে একপা এগিয়ে যায়।”— তিরমিযি, হাদীস: ১৯৩৪
“অপবাদ দেওয়া গিবত থেকেও বড় গোনাহ, কারণ এতে মিথ্যা ও অপমান একসাথে থাকে।”
“মুমিন কখনো অপবাদ দেয় না, কারণ তার অন্তর আল্লাহর ভয়ে কাঁপে।”
“মিথ্যা অপবাদ হলো সেই ছুরি, যা শব্দে কাটা যায় না কিন্তু হৃদয় ক্ষত-বিক্ষত করে।”
“যে জেনে-বুঝে কারো নামে অপবাদ দেয়, সে যেন নিজের ঈমানকে আগুনে নিক্ষেপ করে।”
“অপবাদ ছড়ানো শয়তানের কাজ, মুমিনের নয়।”
“যে অপবাদ দেয়, সে নিজের আমল ধ্বংস করে—যেমন আগুন কাঠকে পোড়ায়।”
“সত্য প্রকাশ না করে কারো নামে অপবাদ দেওয়া হলো জুলুমের চূড়ান্ত রূপ।”
উপসংহার
মিথ্যা অপবাদ শুধু গোনাহ নয়, এটি একজন মানুষের সম্মান ও মর্যাদা হরণ করে। ইসলাম আমাদের শিক্ষা দেয় সত্য, ন্যায় ও সাবধানতা অবলম্বন করতে। কারো নামে কিছু বলার আগে যাচাই করা এবং গীবত বা অপবাদ থেকে নিজেকে বিরত রাখা—এটাই একজন প্রকৃত মুসলিমের পরিচয়।