মূর্খের সাথে তর্ক কখনো ফলদায়ক হয় না, বরং সময়, শক্তি এবং শান্তি নষ্ট হয়। বাস্তব জীবনে আমরা প্রায়ই দেখি, বোকাদের সঙ্গে যুক্তি করে তাদের ভুল বোঝানো সম্ভব নয়, বরং নিজের মূল্যবান সময় নষ্ট হয়। তাই জ্ঞানীরা সবসময় পরামর্শ দেন, মূর্খের সাথে তর্কে না জড়িয়ে চুপ থাকা সবচেয়ে বড় জয়। এই প্রবন্ধে তোমাকে দিচ্ছি মানুষের অনুভূতি থেকে লেখা বাস্তবধর্মী ৩০টি মূর্খের সাথে তর্ক নিয়ে উক্তি, যা তোমার মনেও ছুঁয়ে যাবে।
“যে মানুষ নিজের ভুল বুঝতেই চায় না, তার সাথে তর্ক করা মানে পাথরের দেয়ালে মাথা ঠোকার মতো।”
“মূর্খের সাথে তর্কে জেতা যায় না, কারণ সে হার মানার আগে তোমার ধৈর্য শেষ করে দিবে।”
“তর্কে বুদ্ধিমানের জয় নয়, মূর্খের আনন্দ হয় — সে ভাবে সে জিতে গেছে!”
“একজন অজ্ঞের কাছে সত্যও মিথ্যা মনে হয়, কারণ তার চোখে শুধু নিজের অহংকারের চশমা।”
“মূর্খের সাথে তর্কে জয় নেই, শুধু নিজের মানহানি নিশ্চিত করা যায়।”
“মূর্খ মানুষ যুক্তি শুনে না, সে শুধু নিজের মিথ্যা অহংকারের ব্যান্ড বাজিয়ে চলে।”
“কিছু মানুষের সাথে তর্ক মানে নিজের শান্তির জানাজা পড়া।”
“যে বুঝতে চায় না, তার জন্য হাজারো সত্যও শুধু বাতাসে হারিয়ে যায়।”
“মূর্খকে বোঝানোর চেষ্টা করো না, সে তোমাকে তার লেভেলে নামিয়ে এনে হারিয়ে দিবে।”
“তর্ক তখনই অর্থহীন হয়ে যায়, যখন প্রতিপক্ষের যুক্তি নয়, গলা বড় হয়।”
“মূর্খের সাথে কথার যুদ্ধ নয়, নীরবতা হলো শ্রেষ্ঠ প্রতিরোধ।”
“জ্ঞানী চুপ করে যায়, মূর্খ তখন বিজয়ের ঢাক বাজায়।”
“যে জানে না, আর জানতে চায় না — তার সাথে তর্ক করো না, নিজের জ্ঞান অপচয় হয়।”
“মূর্খের অহংকার পাহাড়সম, তাকে যুক্তির জল দিয়ে গলানো যায় না।”
“সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়, কিছু প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়া ই শুদ্ধতার প্রমাণ।”
মূর্খের সাথে তর্কে জেতার চেষ্টা করা বালির বাঁধ নির্মাণের মতো; যতই চেষ্টা করেন, তা ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে।
অজ্ঞের কানে জ্ঞানের কথা বিষের মতো লাগে, কারণ সত্যের আলো তাদের মিথ্যা ধারণার মুখোশ খুলে দেয়।
মূর্খ ব্যক্তি তার অজ্ঞতাকে চেনে না বলেই এত সহজে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে; জ্ঞানী ব্যক্তি নীরব থেকে নিজের প্রজ্ঞা রক্ষা করে।
কাদা ছোড়াছুড়ি করলে নিজের গায়েও কাদা লাগে; মূর্খের সাথে তর্ক করলে আপনার সম্মানও ধূলিসাৎ হতে পারে।
যেখানে যুক্তির কোনো মূল্য নেই, সেখানে বিতর্ক অর্থহীন; মূর্খের জগতে কেবল চিৎকার প্রতিধ্বনিত হয়।
মূর্খের মুখ বন্ধ করার সর্বোত্তম উপায় হলো নীরব থাকা; আপনার নীরবতা তার অজ্ঞতাকে আরও প্রকট করে তুলবে।
একটি বোকা পাখির সাথে কুস্তি লড়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়; কারণ তাতে আপনি ক্লান্ত হবেন, আর বোকা পাখিটি আনন্দ পাবে।
মূর্খের সাথে বিতর্ক হলো কূপের নিচে পাথর ফেলার মতো; এর কোনো প্রতিধ্বনি শোনা যায় না।
অজ্ঞানী ভাবে সে সবকিছু জানে, তাই সে শিখতে চায় না; জ্ঞানী জানে যে তার জানার শেষ নেই, তাই সে সর্বদা আগ্রহী।
মূর্খের প্রশ্নের উত্তর না দেওয়াই শ্রেয়; কারণ সে আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করবে এবং আপনার ধৈর্য্যের পরীক্ষা নেবে।
আলো যেমন অন্ধকারকে দূর করে, তেমনই জ্ঞান অজ্ঞতাকে পরাজিত করে; কিন্তু মূর্খ সেই আলো দেখতে পায় না।
মূর্খের অহংকার তার অজ্ঞতার চেয়েও বেশি শক্তিশালী; তাই তাকে বোঝানো কঠিন।
সময়ের মূল্য জ্ঞানীর কাছে হীরার চেয়েও বেশি, আর মূর্খ সেই সময়কে অর্থহীন বিতর্কে নষ্ট করে।
জ্ঞান বিতরণ করা উচিত আগ্রহী শিক্ষার্থীর মাঝে, কোনো অন্ধের হাতে নয়; মূর্খ সেই জ্ঞানের মর্যাদা দিতে জানে না।
মূর্খের সাথে তর্ক না করে তাকে এড়িয়ে যাওয়াই হলো শ্রেষ্ঠ জয়; এতে আপনার মানসিক শান্তি বজায় থাকে।

