নানা শুধু একজন মানুষ না, তিনি আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। ছোটবেলার গল্প, আদরের স্পর্শ, আর নিঃস্বার্থ ভালোবাসায় নানা হয়ে ওঠেন এক আশ্রয়ের নাম। যারা নানুর স্নেহ-ভালবাসায় বড় হয়েছেন, তাদের হৃদয়ে নানু চিরকাল জীবন্ত। এখানে আমরা শেয়ার করেছি নানা কে নিয়ে অসাধারণ স্ট্যাটাস, যা আপনাকে নানুর সঙ্গে কাটানো সোনালী স্মৃতিগুলো মনে করিয়ে দেবে।
এখানে আপনি পাবেন:
নানা কে নিয়ে আবেগঘন স্ট্যাটাস:
নানু মানে শুধু একটা মানুষ না, নানু মানে একটা আবেগ, একটা আশ্রয়, একটা নিরাপদ ছায়া। ছোটবেলায় যখন সবাই ব্যস্ত ছিলো, তখন নানু ছিলেন একমাত্র মানুষ যিনি আমার জন্য সময় বের করতেন। আজো সেই স্নেহ, সেই হাসি ভুলতে পারি না।
নানুর কোলে মাথা রাখলেই মনে হতো পৃথিবীর সব শান্তি আমি পেয়ে গেছি। তাঁর হাতের রুটি আর গল্পে আমার শৈশব রঙিন হয়ে উঠেছিল। এমন নির্ভরতা আর কোথাও খুঁজে পাইনি।
যখন কেউ বুঝতে চাইতো না, তখন নানু বুঝতেন। আমি কাঁদলে নানু চোখ মুছিয়ে দিতেন। আজ যখন কাঁদি, কেউ আর আসে না… শুধু স্মৃতির পাতায় নানুর মুখটা ভেসে ওঠে।
নানা মানেই এক নিঃস্বার্থ ভালোবাসার প্রতীক। তিনি না থাকলে আমি আজকের আমি হতাম না। তাঁর শেখানো আদর্শ আর ভালোবাসার ছায়াতলে আমি আজো চলার শক্তি পাই।
নানুর হাত ধরে প্রথম স্কুলে গিয়েছিলাম, তিনি আমাকে বলেছিলেন—”ভয় পাস না, আমি আছি।” আজ জীবনের এত বড় পথে নানু নেই, কিন্তু সেই কথাটা আজও কানে বাজে—”আমি আছি।”
নানু ছিলেন আমার প্রথম বন্ধু, যিনি আমার সব কথা শুনতেন। তিনি না থাকলেও, আজো মনে হয়—আমি কিছু বললে, তিনি শুনছেন, অনুভব করছেন, দোয়া দিচ্ছেন।
অনেক মানুষ আসে-যায় জীবনে, কিন্তু নানু ছিলেন চিরস্থায়ী ভালোবাসার নাম। তাঁর প্রতিটা হাসি, প্রতিটা আদর আজো আমার হৃদয়ে অমলিন রয়ে গেছে।
নানুর বানানো খিচুড়ি, দুপুরবেলার গল্প, সন্ধ্যাবেলার নামাজ—সবকিছু মিলে একটা পূর্ণ জীবনের ছবি। সেই ছবির মাঝখানে শুধু একটাই নাম—আমার নানু।
নানু মানে আমার জীবনের প্রথম আশ্রয়, প্রথম শিক্ষক, প্রথম প্রেরণা। তাঁর জীবন আমাকে শিখিয়েছে কিভাবে সৎ আর নম্র হতে হয়।
আজ তিনি হয়তো নেই চোখের সামনে, কিন্তু প্রতিটা ভালো কাজের শুরুতে তাঁর মুখটা মনে পড়ে। তাঁর দোয়া ছাড়া কোনো কাজই যেন সফল হয় না।
নানাকে নিয়ে কিছু স্মৃতিচারণ
“আমার প্রিয় নানা, তোমার স্নেহমাখা হাত আর কখনো আমার মাথায় বুলিয়ে দেবে না ভাবতেই মনটা বিষাদে ভরে ওঠে। তোমার অভাব প্রতি মুহূর্তে অনুভব করি।”
“নানা ছিলেন আমার জীবনের প্রথম হিরো। তাঁর গল্প বলার ভঙ্গি, জ্ঞান আর দুষ্টু মিষ্টি শাসন আজও আমার স্মৃতিতে অমলিন। তোমাকে খুব মিস করি, নানাভাই।”
“তোমার শেখানো নীতি আর আদর্শগুলো আজও আমার চলার পথের পাথেয়। তুমি হয়তো আজ পাশে নেই, কিন্তু তোমার শিক্ষা চিরকাল আমার হৃদয়ে জীবন্ত থাকবে, নানা।”
“বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়, তুমি আর আমাদের মাঝে নেই। তোমার সেই অমায়িক হাসি আর স্নেহের ডাক শুনতে পাবো না আর কখনো। তোমায় খুব মনে পড়ে, নানা।”
“নানা, তুমি ছিলে আমার বন্ধুর মতো, আমার গোপন কথা বলার একমাত্র আশ্রয়। তোমার পরামর্শ আর ভালোবাসা ছাড়া জীবনটা যেন অনেকটাই ফাঁকা।”
“তোমার হাতের তৈরি সেই মজার খাবারগুলোর স্বাদ আজও আমার জিভে লেগে আছে। তোমার সাথে কাটানো সেই সোনালী দিনগুলো কখনো ভোলা যাবে না, নানা।”
“নানা চলে গেছেন, রেখে গেছেন একরাশ অমূল্য স্মৃতি। সেই স্মৃতিগুলো বুকে আগলে রেখেই তোমার দেখানো পথে চলব, এই আমার প্রতিজ্ঞা।”
“তোমার অভাব যেন এক গভীর শূন্যতা, যা কোনো কিছু দিয়েই পূরণ হবার নয়। তোমায় ভালোবাসি, নানা। শান্তিতে থেকো তুমি।”
“নানা, তুমি ছিলে আমাদের পরিবারের স্তম্ভ। তোমার প্রস্থানে আজ সব শূন্য মনে হয়। তোমার আত্মার শান্তি কামনা করি।”
“তোমার সাথে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত আমার জীবনের অমূল্য সম্পদ। সেই স্মৃতিগুলো বুকে ধরে বেঁচে থাকাই এখন আমার একমাত্র সান্ত্বনা, প্রিয় নানা।”