নানার মৃত্যু আমাদের জীবনে এমন একটি শূন্যতা রেখে যায়, যা কখনোই পূরণ হয় না। তিনি ছিলেন আমাদের জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, একজন অভিভাবক, একজন বন্ধু, একজন প্রেরণা। তাঁর অনুপস্থিতি আমাদের প্রতিটি দিনকে স্মৃতির ভারে নুয়ে ফেলে। অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করতে চান, তাই এখানে আমরা শেয়ার করছি নানার মৃত্যু নিয়ে গভীর ও হৃদয়স্পর্শী স্ট্যাটাস, যা আপনার মনের কষ্ট আর ভালোবাসাকে শব্দে প্রকাশ করতে সাহায্য করবে।
নানার মৃত্যু নিয়ে আবেগঘন স্ট্যাটাস:
আমার জীবনের সবচেয়ে আপন মানুষটি আজ আর নেই। যাঁর ছায়ায় আমি বড় হয়েছি, যাঁর স্নেহে আমি মানুষ হয়েছি—সেই নানু আজ কেবল স্মৃতিতে বেঁচে আছেন। প্রতিদিন তাঁর অভাব আরও তীব্র হয়ে অনুভব করি।
ছোটবেলায় যখন রাত জেগে জ্বরে কাঁপতাম, তখন নানু সারা রাত চোখে ঘুম না এনে পাশে বসে থাকতেন। আজ আমি চোখে জল নিয়ে ঘুমাতে যাই, কিন্তু পাশে নানু আর থাকেন না।
নানু, তুমি তো বলেছিলে, আমি বড় হলে আমাকে অনেক কিছু শিখাবে। তুমি তো আমার পাশে থাকবেই বলেছিলে! কেন তুমি কথা রাখলে না? তোমার অনুপস্থিতিতে আমার শৈশব, আমার হৃদয় ভেঙে গেছে।
জীবনে অনেক মানুষ আসে-যায়, কিন্তু কিছু মানুষ হারিয়ে গেলে মনটা চিরতরে থমকে যায়। আমার নানু সেই মানুষ। তাঁর মৃত্যু আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ক্ষতি।
আজ চারপাশে সবাই আছে, তবুও মনে হয় আমি একা। কারণ আমার প্রিয় নানু আর নেই। যাঁর মুখে একটুখানি হাসি দেখলেই আমার মন ভালো হয়ে যেত, সেই মুখটা আজ শুধুই স্মৃতির অ্যালবামে বন্দি।
মৃত্যু একদিন আসবেই জানতাম, কিন্তু সেটা এভাবে নানুর জন্য আসবে ভাবিনি। আজও সকালে ঘুম ভাঙলে মনে হয়, বারান্দায় বসে নানু ডাকবেন—”এই শোন, ঘুম থেকে ওঠ”। কিন্তু সেই ডাক আর শোনা যায় না।
নানুর জানাজা শেষ হবার পর যখন মাটি চাপা পড়ছিল তাঁর শরীরটা, মনে হচ্ছিল আমার হৃদয়টাই কেউ মাটি দিয়ে ঢেকে দিচ্ছে। এতটা কষ্ট কখনো পাইনি জীবনে।
আমার নানুর মৃত্যু শুধু একজন মানুষকে হারানো নয়, এটা আমার একটা যুগের সমাপ্তি। তাঁর গল্প, তাঁর কণ্ঠ, তাঁর আদর সব কিছু যেন আমার ভেতর থেকে একসাথে ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে।
অনেকে বলে, সময় কষ্ট ভুলিয়ে দেয়। কিন্তু নানুর অভাব সময়কে আরও নিঃস্ব করে তোলে। যত দিন যাচ্ছে, ততই বুঝি, তাঁকে ছাড়া জীবন কতটা ফাঁকা।
আমি জানি, তুমি স্বর্গে ভালো আছো। কিন্তু আমার হৃদয়ে যে শূন্যতা রেখে গেলে, তা পৃথিবীর কিছুতেই পূরণ হয় না। প্রতিটি দোয়া, প্রতিটি কান্নায় তুমি আছো, নানু।
“আমার প্রিয় নানা, আপনার মৃত্যুতে আমার হৃদয় ভেঙে গেছে। আপনার স্নেহমাখা স্পর্শ, মিষ্টি হাসি আর জ্ঞানগর্ভ কথাগুলো চিরকাল আমার হৃদয়ে অমলিন থাকবে। আপনার আত্মার শান্তি কামনা করি।”
“নানা ছিলেন বটবৃক্ষের মতো, যাঁর শীতল ছায়ায় আমরা বড় হয়েছি। আজ সেই ছায়া সরে গেল, রেখে গেল শুধু স্মৃতি আর গভীর শূন্যতা। আপনাকে খুব মিস করব, নানাভাই।”
“আপনার শেখানো নীতি, আদর্শ আর অমূল্য উপদেশগুলোই আমার জীবনের পাথেয়। আপনি হয়তো আজ আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু আপনার শিক্ষা চিরকাল আমার সাথে থাকবে, প্রিয় নানা।”
“বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে, আপনি আর আমাদের মাঝে নেই। আপনার সেই স্নেহপূর্ণ ডাক, দুষ্টুমি ভরা চোখগুলো খুব মনে পড়ছে, নানা। আপনার আত্মার মাগফিরাত হোক।”
“নানা, আপনি ছিলেন আমার প্রথম বন্ধু, আমার পথপ্রদর্শক। আপনার দেখানো পথ ধরেই আমি আজও চলছি। আপনাকে কখনো ভুলব না।”
“আপনার হাতের স্পর্শ, আপনার মুখের মিষ্টি কথাগুলো আজও আমার কানে বাজে। আপনি যেখানেই থাকুন, শান্তিতে থাকুন, আমার প্রিয় নানা।”
“নানা চলে গেছেন, রেখে গেছেন একরাশ অমূল্য স্মৃতি। সেই স্মৃতিগুলো বুকে আগলে রেখেই আপনার দেখানো পথে চলার চেষ্টা করব।”
“আপনার অভাব যেন এক গভীর ক্ষত, যা সময়ের সাথে সাথে আরও বাড়ছে। আপনাকে খুব ভালোবাসি, নানা। শান্তিতে ঘুমান।”
“নানা, আপনি ছিলেন আমাদের পরিবারের মধ্যমণি। আপনার প্রস্থানে আজ সব শূন্য মনে হয়। আপনার আত্মার শান্তি কামনা করি।”
“আপনার সাথে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত আমার জীবনের অমূল্য সম্পদ। সেই স্মৃতিগুলো বুকে ধরে বেঁচে থাকাই এখন আমার একমাত্র সান্ত্বনা, প্রিয় নানা। আপনার বিদেহী আত্মার শান্তি হোক।”