জীবনে সফল হতে হলে অজুহাত নয়, প্রয়াস দরকার। আজকের সমাজে অনেকেই নিজের ব্যর্থতার দায় চাপানোর জন্য অজুহাত খোঁজে। কিন্তু আসল পরিবর্তন আসে তখনই, যখন অজুহাত ছেড়ে দায়িত্ব নেওয়া শুরু করি। অজুহাত মানুষকে সময়ের পেছনে ফেলে দেয়, স্বপ্নের দরজা বন্ধ করে দেয়। তাই আজ আমরা তুলে ধরছি অজুহাত নিয়ে কিছু গভীর, বাস্তব আর জীবনঘনিষ্ঠ উক্তি — যা পড়লে মনে হবে, এগুলো জীবনের অভিজ্ঞতা থেকেই লেখা।
বাস্তবতা ছোঁয়া কিছু অসাধারণ অজুহাত নিয়ে উক্তি:
“যার ইচ্ছে সত্যি, সে উপায় খোঁজে; আর যার ইচ্ছে ভেতর থেকে নয়, সে অজুহাত খোঁজে।”
“অজুহাত কেবল তোমার আজকের ব্যর্থতাকে বৈধতা দেয়, ভবিষ্যতের সাফল্য ছিনিয়ে নেয়।”
“অজুহাত বানাতে সময় লাগলেও, চেষ্টা করতে সাহস লাগে।”
“যারা অজুহাতে দিন কাটায়, তাদের স্বপ্নগুলো ধীরে ধীরে মরতে থাকে।”
“তুমি যদি সফল হতে চাও, তবে অজুহাত বানানোর বদলে সমাধান খুঁজে নিতে শিখো।”
“অজুহাত কখনো তোমার লক্ষ্যকে এগিয়ে নেয় না, বরং প্রতিদিন এক কদম পিছিয়ে দেয়।”
“নিজেকে জিতিয়ে নিতে চাইলে প্রথমে অজুহাতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করো।”
“অজুহাত হচ্ছে অলসতার সবচেয়ে মারাত্মক মুখোশ।”
“অজুহাত দেয়া যত সহজ, জীবন বদলানো তত কঠিন — কিন্তু আসল সুন্দরটা সেই কঠিনের ভেতরেই লুকানো।”
“অজুহাত তোমাকে আজ শান্তি দেবে, কিন্তু আগামীকাল তোমাকে অনুশোচনায় পোড়াবে।”
“সফল মানুষের অভিধানে অজুহাত শব্দটা থাকে না, থাকে শুধু চেষ্টা আর পরিবর্তন।”
“অজুহাতের দেয়ালে তোমার স্বপ্নগুলো থমকে দাঁড়ায়, সাহসের পায়ে তারা ছুটে চলে।”
“যে হার মানতে চায়, সে অজুহাত খোঁজে; যে জিততে চায়, সে পথ তৈরি করে।”
“অজুহাত হলো সেই মিষ্টি বিষ, যা ধীরে ধীরে তোমার জীবনের সম্ভাবনাকে মেরে ফেলে।”
“অজুহাত দিয়ে তুমি আজ নিজেকে সান্ত্বনা দিতে পারো, কিন্তু ভবিষ্যতের তুমি তোমাকে কখনো ক্ষমা করবে না।”
“অজুহাত হলো সেই মুদ্রা, যা ব্যর্থতার বাজারে বহুল প্রচলিত।” – এই উক্তিটি আমাদের বোঝায় যে অজুহাত দেওয়াটা খুবই সহজ, কিন্তু এর বিনিময়ে আমরা কেবল ব্যর্থতাই অর্জন করি।
“সাফল্যের পথে অজুহাত একটি বিশাল পাথর, যা সরিয়ে না ফেললে গন্তব্যে পৌঁছানো অসম্ভব।” – আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে হলে অজুহাতের পাহাড় ডিঙিয়ে যেতে হবে।
“যারা অজুহাত দেয়, তারা আসলে তাদের সম্ভাবনাকে নিজেরাই কবর দেয়।” – অজুহাত আমাদের ভেতরের শক্তি ও সামর্থ্যকে নষ্ট করে ফেলে।
“অজুহাত হলো অলস মনের বিলাসী পোশাক।” – যখন আমরা অলস হই, তখন অজুহাত খুঁজে বের করাটা আমাদের কাছে আরামদায়ক মনে হয়।
“কষ্ট স্বীকার করাই সাফল্যের চাবিকাঠি, আর অজুহাত হলো সেই চাবি হারানোর মিথ্যা গল্প।” – যারা পরিশ্রম করতে ভয় পায়, তারাই অজুহাতের আশ্রয় নেয়।
“আপনার অজুহাতগুলো আপনার স্বপ্নের চেয়ে বড় হতে পারে না।” – যদি আপনার স্বপ্ন সত্যি করার আকাঙ্ক্ষা থাকে, তবে কোনো অজুহাতই টিকতে পারবে না।
“অজুহাত কেবল সময় নষ্ট করে, আর সময়ের মূল্য অসীম।” – প্রতিটি অজুহাত আমাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে, যা আর কখনোই ফিরে পাওয়া যায় না।
“সাহস করে পদক্ষেপ নিন, অজুহাত আপনাআপনিই দুর্বল হয়ে যাবে।” – যখন আমরা কোনো কাজ শুরু করি, তখন ভেতরের ভয় ও অজুহাত ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
“মনে রাখবেন, অজুহাত কেবল তাদের জন্যই যারা চেষ্টা করতে ভয় পায়।” – যারা সাহসী, তারা কখনোই অজুহাত খোঁজে না।
“অজুহাত আপনার বর্তমানকে স্বস্তি দিলেও, আপনার ভবিষ্যৎকে ধ্বংস করে।” – তাৎক্ষণিক আরামের জন্য অজুহাত দেওয়া দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির কারণ হতে পারে।
“পরিবর্তন আনতে হলে অজুহাতের শেকল ভাঙতে হবে।” – যদি জীবনে উন্নতি করতে চান, তবে অজুহাতের অভ্যাস ত্যাগ করা জরুরি।
“অজুহাত হলো ব্যর্থতার পূর্বাভাস।” – যখন আমরা অজুহাত দিতে শুরু করি, তখন আমরা প্রকারান্তরে নিজেদের ব্যর্থতাকেই আমন্ত্রণ জানাই।
“কঠোর পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই, আর অজুহাতের কোনো স্থান নেই।” – সাফল্য অর্জনের একমাত্র পথ হলো পরিশ্রম, এখানে অজুহাতের কোনো স্থান নেই।
“আজকের অজুহাত আগামীকালের আফসোস।” – আজ যে কাজটা আমরা অজুহাতের কারণে ফেলে রাখছি, ভবিষ্যতে সেটার জন্য আমাদের আফসোস করতে হতে পারে।

