জীবনে চলার পথে আমরা সবাই কম-বেশি ভুল করি। কিন্তু দুঃখজনক সত্য হলো—অনেকেই নিজের ভুল স্বীকার না করে, কেবল অন্যের দোষ খুঁজতে ব্যস্ত থাকেন। কেউ কাউকে পরিপূর্ণ নয়, তবুও মানুষ ভুলে যায় এই সহজ কথাটা। আজ আমরা শেয়ার করছি এমন কিছু জীবনঘনিষ্ঠ উক্তি যা অন্যের দোষ খোঁজার এই অভ্যাসকে তুলে ধরবে একেবারে বাস্তব, আবেগময়ভাবে—যেমনটা একজন মানুষ তার অভিজ্ঞতা থেকে বলে থাকে।
অন্যের দোষ খোঁজা নিয়ে বাস্তবধর্মী ও হৃদয়ছোঁয়া উক্তি:
“নিজের আয়নাটা যদি আগে পরিষ্কার করতিস, তাহলে হয়তো আর কাউকে নোংরা বলার দরকার হতো না।”
“মানুষ তার নিজের চরিত্র লুকাতে যতটা কষ্ট করে, অন্যের দোষ দেখাতে তার চেয়ে বেশি উৎসাহী হয়ে ওঠে।”
“যে সারাদিন অন্যের ভুল গোনে, সে নিজের জীবনকে ব্যর্থতার খাতায় লিখে দেয় অজান্তেই।”
নিজের আঙুল আকাশের দিকে তুলে অন্যের দোষ দেখালে, তিনটি আঙুল যে নিজের দিকেই তাক করা থাকে – এটা আমরা ভুলে যাই।
অন্যের কাঁধে বন্দুক রেখে শিকার করার মতো, অন্যের ভুল ধরে নিজেদের শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করার চেষ্টা করা দুর্বলতার লক্ষণ।
আয়নার সামনে দাঁড়ালে নিজের চেহারা যেমন স্পষ্ট দেখা যায়, তেমনই অন্যের দোষ খুঁজতে গিয়ে নিজেদের ভেতরের অন্ধকারও একবার দেখা উচিত।
অন্যের সামান্য ভুল নিয়ে তুফান তোলার আগে, নিজেদের জীবনের ভুলগুলো একবার শান্তভাবে বিবেচনা করা প্রয়োজন।
যারা অন্যের দোষ খুঁজে বেড়ায়, তারা আসলে নিজেদের ভেতরের শূন্যতা ঢাকতে চায়।
অন্যের কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দেওয়ার মতো আনন্দ আর কিছুতে নেই – এমন মানসিকতা সুস্থ সমাজের জন্য ক্ষতিকর।
অন্যের ভুল ধরিয়ে দেওয়ার চেয়ে, তাকে সেই ভুল শুধরানোর পথে সাহায্য করা মহত্ত্বের পরিচয়।
যারা সবসময় অন্যের খুঁত দেখে, তাদের দৃষ্টিতে কখনোই সৌন্দর্য ধরা পড়ে না।
একটি ছোট ছিদ্র যেমন একটি বিশাল জাহাজ ডোবাতে পারে, তেমনই অন্যের সামান্য দোষ একটি সুন্দর সম্পর্ক নষ্ট করতে পারে।
অন্যের ভুল নিয়ে হাসাহাসি করার আগে, মনে রাখা উচিত সময়ের চাকা ঘোরে, ভুল যে কারো হতে পারে।
যারা অন্যের দোষকে বড় করে দেখে, তারা আসলে নিজেদের ছোট মনটাকেই প্রকাশ করে।
অন্যের ভুল খুঁজে বেড়ানো এক প্রকারের নেশা, যা আত্মসম্মান এবং অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ কেড়ে নেয়।
সূর্যের আলোয় যেমন অন্ধকার দূর হয়, তেমনই ভালোবাসার স্পর্শে অন্যের ভুলগুলো ম্লান হয়ে যায়।
অন্যের দোষ না খুঁজে যদি আমরা একে অপরের ভালো দিকগুলো দেখতে শিখতাম, পৃথিবীটা আরও সুন্দর হতো।
শেষ পর্যন্ত অন্যের ভুল ধরা সেই ব্যক্তির একাকীত্বের কারণ হয়, কারণ কেউ ভুল ধরা মানুষটিকে ভালোবাসে না।
“অন্যকে দোষ দিতে পারাটা কোনো গুণ নয়, কিন্তু নিজের ভুল শোধরানোই হলো বড় মাপের মানুষ হওয়ার প্রথম ধাপ।”
“অন্যের দোষ ধরে রাখার চেয়ে নিজের গুণ বাড়ানো ভালো, কারণ একটাতে শুধু অহংকার বাড়ে, অন্যটাতে জীবন বদলে যায়।”
“যে অন্যের ত্রুটিই দেখে, তার চোখে নিজের সাফল্যের দরজা কখনোই খুলবে না।”
“অন্যের ভুলগুলো তোমার হাতের মালা হয়ে থাকুক না—ফেলে দাও, নইলে পথ চলতে বাধা হবে।”
“অন্যের দোষ খোঁজার আগে নিজের আঙুলগুলো দেখো—সেগুলোই হয়তো তোমার দিকেই তাক করছে।”
“অন্যকে দোষারোপ করা সহজ, কারণ সত্যি কথা হলো—নিজেকে সংশোধন করার সাহস সবার থাকে না।”
“অন্যের দোষ নিয়ে আলোচনা করলে তোমার কথার ভিড়ে নিজের বিবেকের কণ্ঠটাই ডুবে যায়।”
“যে অন্যের পেছনে সময় নষ্ট করে, সে নিজের ভবিষ্যৎকেই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে।”
“অন্যের দোষ গণনা করে কেউ মহান হয়নি, কিন্তু যে নিজের দোষ শুধরে, ইতিহাস তাকে মনে রাখে।”
“অন্যের ভুল ধরে রাখা হলো বিষের বোতল নিজেই পান করা—ক্ষতি শুধু তোমারই হবে।”
“অন্যের দোষ দেখার চোখ থাকলে ভালো, কিন্তু তা শুধরানোর হৃদয় না থাকলে সব বৃথা।”
“অন্যকে দোষ দিয়ে সময় নষ্ট করো না, বরং সেই সময়টা নিজেকে উন্নত করো—জীবন তখনই সুন্দর হবে।”
“যার নিজের ভেতরে শান্তি নেই, সে-ই অন্যের ভুলে সবচেয়ে বেশি শব্দ তোলে।”
“অন্যের দোষ খোঁজার আগে নিজের হৃদয়ের আয়নাটা একবার ঝাঁট দিয়ে দেখা উচিত।”
“যে চোখে সারাক্ষণ অন্যের খুঁত খোঁজা চলে, সেই চোখ দিয়ে কখনো ভালোবাসা দেখা যায় না।”
“অন্যের দোষ দেখে যদি কেউ নিজেকে ধার্মিক ভাবে, তবে তার আত্মা এখনো জাগ্রত হয়নি।”
“তোমার ভালোটা যদি প্রমাণ করতে হয় অন্যের খারাপ দেখিয়ে—তবে সেটা ভালো নয়, সেটা প্রতিযোগিতা মাত্র।”
“নিজেকে ঠিক করো আগে, তারপর না হয় পৃথিবীকে শোধরানোর দায়িত্ব নাও।”
“যে মানুষ সবসময় অন্যের ভুল খোঁজে, তার নিজের ভুলগুলো অন্ধকারে পড়ে থাকে—অথচ ওরাই সবচেয়ে ভয়ানক।”
“যার কাজের চেয়ে কথাই বেশি, সে-ই সাধারণত অন্যের দোষ বেশি খুঁজে বেড়ায়।”
“নিজের আয়নার দাগ মুছতে যতটা সময় লাগে, তার চেয়ে কম সময়ে আমরা অন্যের ময়লা ধরিয়ে দেই।”
“অন্যকে ছোট করে বড় হওয়া যায় না, শুধু অহংকারটা একটু মোটা হয়।”
“যে নিজের ভুলকে চোখে দেখে না, তার কাছে অন্যের ভুলগুলো মাইক্রোস্কোপের মতো বড় মনে হয়।”
“তুমি যদি সবসময় অন্যের দোষ খোঁজো, তাহলে তুমি হয়তো নিজের অসফলতা ঢাকার চেষ্টা করছো।”
“সমালোচনায় সময় কাটাও না—নিজেকে গড়ো, কারণ সফল মানুষ অন্যকে দেখে হাসে না, অনুপ্রাণিত করে।”

