অভিমান মানে শুধু কষ্ট নয়—এটা এক ধরনের নিরব কান্না, ভালোবাসার ভেতরে জমে থাকা না বলা কথা। যখন প্রিয় মানুষটা দূরে সরে যায়, উপেক্ষা করে বা বুঝতে চায় না, তখন একটা অভিমান জমে ওঠে—যেটা আসলে তার ভালোবাসার প্রমাণ। অভিমানী মানুষরা চিৎকার করে না, মুখে কিছু বলে না, কিন্তু ভেতরে ভেতরে প্রতিদিন একটু করে ভেঙে যায়।
এই অভিমানী মন যখন ভালোবাসা পায় না, তখন তা কষ্টের পাহাড় হয়ে দাঁড়ায়। নিচে দেওয়া এই স্ট্যাটাসগুলো সেই না বলা অভিমান আর ভেতরের যন্ত্রনাকে তুলে ধরে—যা আপনার হৃদয় ছুঁয়ে যাবে।
অভিমানী কষ্টের স্ট্যাটাস আবেগময়
“অভিমান করে দূরে থাকি, কারণ ফিরে যাওয়ার সাহস আমার নেই—আর অপমান সহ্য করার শক্তিও নেই।”
“তুমি তো শুধু দেখলে আমার রাগ, কিন্তু বুঝলে না, সেই রাগের আড়ালে কত অভিমান লুকিয়ে আছে।”
“অভিমান করে চুপ করে থাকি, যাতে তুমি একটু এসে বলো—’কষ্ট পেয়েছো?’ কিন্তু তুমি তো কখনও জানতে চাওনি।”
“ভালোবাসি বললে বুঝতে পারো না, অভিমান করে দূরে গেলে বলো—’তুমি বদলে গেছো’।”
“আমি কষ্ট পাইনি তোমার বদলে যাওয়াতে, আমি কষ্ট পেয়েছি এই ভেবে—তুমি বুঝতেও পারোনি আমি কষ্ট পেয়েছি।”
“অভিমানী মনটা চায়, তুমি এসে বলো—‘থেমে যা, আমি তো আছি’, কিন্তু বাস্তবে কেউ আসে না, কেউ থাকেও না।”
“আমার নীরবতা মানে ঘৃণা না, এটা অভিমান—যেটা তৈরি হয়েছে তোমার প্রতি নিঃশর্ত ভালোবাসা থেকে।”
“তুমি না বুঝলেও, আমি আজও প্রতিটি অভিমানে তোমার ফিরে আসার অপেক্ষা করি—জানি, তুমি আর ফিরবে না।”
“অভিমান করতে করতে একদিন দূরে সরে যাই, কিন্তু যাওয়ার পেছনে থাকে হাজারটা কান্না, যেটা তুমি কোনোদিন দেখো না।”
“ভালোবাসার সবচেয়ে ভয়ঙ্কর দিক হলো, যখন অভিমান আর কষ্ট একসাথে বুকের ভেতর জমে থাকে, আর তুমি সেটা বুঝতেই না পারো।”
কখনো কখনো অভিমান এতটাই গভীর হয়, যে কাউকে কিছু না বলেই চুপচাপ সরে যেতে হয়—নিজের কষ্টটুকু নিজের মাঝেই লুকিয়ে রাখতে হয়।
অভিমানটা কখনো কোনো ভুলের জন্য হয় না, হয় অবহেলার জন্য—যেখানে প্রিয় মানুষটা বুঝতে পারে না কতটা কষ্ট পেয়েছি।
আমি বলিনি বলে যদি তুমি ভাবো, কষ্ট পাইনি—তাহলে জেনে রেখো, অভিমানীরা শব্দে নয়, নীরবতায় ডুবে মরে।
আমার অভিমানকে যদি তুমি ‘নাটক’ ভাবো, তাহলে তোমার ভালোবাসাও ছিল ‘মঞ্চের’—বাস্তব নয়।
সবাই দেখে আমি দূরে চলে গেছি, কিন্তু কেউ দেখে না—তুমি আগে ছেড়ে দিয়েছিলে ধরে রাখা।
আমি চাইনি সম্পর্ক শেষ হোক, শুধু চেয়েছিলাম তুমি একবার বলো—‘আমি আছি, বুঝেছি তোমার কষ্ট।’
অভিমান কখনো সম্পর্ক নষ্ট করে না, কিন্তু যারা তা বোঝে না—তারা নিজেই সম্পর্ককে বিষিয়ে ফেলে।
আমি কষ্ট পেয়েছি, কারণ আমি অনুভব করেছি। যাকে নিয়ে অভিমান, তাকে নিয়ে যত্ন ছিল—ভালোবাসা ছিল।
প্রিয় মানুষটা যখন অবহেলার ভাষা শেখে, তখন অভিমানের ভাষা বোবা হয়ে যায়।
চলে যাওয়া সহজ, কিন্তু যাকে রেখে যাচ্ছো—সে যদি অভিমানী হয়, তার ভেতরের মৃত্যুটা দেখার মতো নয়, অনুভবের মতো।
“জানো তো, কিছু কষ্ট এমন হয় যা ভেতরে পাথর জমা করে রাখে, বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই। আমার অভিমানগুলোও তেমনই, নীরবে বয়ে চলে হৃদয়ের গভীরে।”
“আসলে, যার কাছে তোমার কষ্টের কোনো মূল্য নেই, তার কাছে অভিমান দেখানোটাও বোকামি। তাই আজকাল সবকিছু নীরবে সহ্য করতে শিখে গেছি।”
“বিশ্বাস করো, আমার নীরবতা মানে এই নয় যে আমি ভালো আছি। এর অর্থ হলো, আমার ভেতরের ঝড়টা এতটাই বড় যে তা প্রকাশ করার মতো কোনো ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।”
“কষ্টটা তখন আরও বাড়ে, যখন তুমি বোঝো তোমার অভিমানের কারণটা সে বুঝেও না বোঝার ভান করছে। মনে হয় যেন একটা অচেনা দূরত্ব তৈরি হয়ে গেছে।”
“আমি হয়তো চিৎকার করে কাঁদতে পারি না, কিন্তু আমার প্রতিটি দীর্ঘশ্বাসে জমা আছে না বলা অনেক অভিমান আর কষ্ট।”
“মাঝে মাঝে মনে হয়, কেন আমি এত ভাবি? যার আমার অনুভূতিগুলোর প্রতি কোনো খেয়ালই নেই, তার জন্য এত কষ্ট পাওয়া কেন?”
“আসলে, অভিমান তো তখনই হয় যখন ভালোবাসার গভীরতা থাকে। যেখানে সেই ভালোবাসার অভাব, সেখানে অভিমানও মূল্যহীন।”
“আমার এই নীরব কষ্টগুলো একদিন হয়তো তোমাকে বোঝাতে পারবে, তোমার অবহেলা আমার হৃদয়টাকে কতটা ক্ষতবিক্ষত করেছে।”
“মনে রেখো, সব কষ্টের বহিঃপ্রকাশ ঘটে না। কিছু কষ্ট ভেতরে ঘূর্ণিঝড়ের মতো ঘুরতে থাকে, আর বাইরে থাকে শুধু শান্ত নীরবতা।”
“তাই বলি, যদি কারও নীরবতা তোমাকে ভাবায়, একটু থেমো। হয়তো তার ভেতরে জমে আছে এমন কিছু অভিমানী কষ্ট যা সে মুখ ফুটে বলতে পারছে না।”

