কর্ম হলো জীবনের মৌলিক ভিত্তি। শ্রীমদ্ভগবদগীতা, হিন্দুধর্মের এক গুরুত্বপূর্ণ ধর্মগ্রন্থ, কর্ম ও তার ফলাফল নিয়ে গভীর দার্শনিক ব্যাখ্যা প্রদান করেছে। গীতার বাণীগুলো শুধু ধর্মীয় দিক থেকে নয়, আধুনিক জীবনেও আত্মশুদ্ধি, দায়িত্ব ও আত্ম-উন্নতির পথ দেখায়। এই আর্টিকেলে আমরা তুলে ধরবো গীতায় বলা কিছু বিখ্যাত ও প্রাসঙ্গিক কর্ম সংক্রান্ত বাণী, যা আজও জীবনের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে।
কর্ম সম্পর্কিত গীতার বাণী
“কর্মে অধিকার আছে তোমার, কিন্তু ফলের মধ্যে নয়।”
(শ্রীমদ্ভগবদগীতা ২:৪৭)
অর্থ: কাজ করো, কিন্তু ফলের আশা রেখো না।
“নিজের কর্তব্যকর্ম পালন করাই শ্রেয়, অন্যের কর্তব্য অনুকরণ না করাই উত্তম।”
(গীতা ৩:৩৫)
অর্থ: নিজের দায়িত্ব পালন শ্রেয়, অন্যের কাজ অনুকরণ নয়।
“কর্মযোগই প্রকৃত যোগ। যে ফলের কামনা না করে কর্ম করে, সেই যোগী।”
(গীতা ৬:১)
অর্থ: নির্লোভভাবে কর্ম করাই আসল সাধনা।
“যে ব্যক্তি সব কর্মকে উৎসর্গ করে ঈশ্বরে, ফলের কামনা না করে কর্ম করে, সে পাপগ্রস্ত হয় না।”
(গীতা ৫:১০)
অর্থ: নিষ্কাম কর্মই মুক্তির পথ।
“কর্মযোগে নিপুণ যে ব্যক্তি, সে এখনই এই জীবনেই সিদ্ধ।”
(গীতা ৪:১৩)
অর্থ: কর্মে পারদর্শিতাই সাফল্যের চাবিকাঠি।
“যে ব্যক্তি সকল কর্মে অনাসক্ত, সে সর্বদা শান্ত ও পরিতৃপ্ত।”
(গীতা ৪:২০)
অর্থ: অনাসক্ত থেকে কাজ করলেই প্রকৃত শান্তি আসে।
“জ্ঞানী ব্যক্তি কর্মে স্থিত থাকেন, কারণ কর্মই মোক্ষের উপায়।”
(গীতা ৩:১৯)
অর্থ: কর্মই মুক্তির মাধ্যম।

