মৃত্যু মানব জীবনের অবিচ্ছেদ্য ও অনিবার্য এক সত্য। জন্মের সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুর পথচলা শুরু হয়, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ একে ভয় ও শোকের দৃষ্টিতে দেখে। ভগবদ্গীতা, হিন্দু ধর্মগ্রন্থের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গীতিকবিতা, এই মৃত্যু-ভয়কে দূর করে আধ্যাত্মিক উপলব্ধির মাধ্যমে জীবন ও মৃত্যুকে নতুন আলোয় ব্যাখ্যা করে। শ্রীকৃষ্ণের জ্ঞানসমৃদ্ধ বাণী অনুসারে, মৃত্যু শুধুই শরীরের অবসান, আত্মার নয়।
এই নিবন্ধে আমরা গীতার সেই মহামূল্যবান শ্লোকগুলোর কথা জানব, যেখানে মৃত্যুকে ঘিরে গভীর দার্শনিক ও আধ্যাত্মিক অর্থ ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
গীতায় মৃত্যুর ব্যাখ্যা – মূল দিকগুলো
আত্মা অজর, অমর ও অবিনাশী – গীতায় বলা হয়েছে, আত্মা কখনো জন্মায় না, কখনো মরে না (শ্লোক: ২.২০)
শরীর নশ্বর, আত্মা চিরন্তন – দেহ বিনাশ হয়, কিন্তু আত্মা সদা বিদ্যমান থাকে (শ্লোক: ২.২২)
পুনর্জন্ম ও কর্মফল – গীতা ব্যাখ্যা করে আত্মা কিভাবে এক দেহ ত্যাগ করে আরেক দেহ গ্রহণ করে (শ্লোক: ২.১৩)
মৃত্যুভয় দূর করার উপদেশ – শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে বোঝান, মৃত্যুভয় মানে অজ্ঞতা (শ্লোক: ২.১১)
সমভাবে মৃত্যু ও জীবনকে দেখার আহ্বান – জ্ঞানী ব্যক্তি সুখ-দুঃখ, লাভ-ক্ষতি, জন্ম-মৃত্যু সমভাবে গ্রহণ করে (শ্লোক: ২.৩৮)
আত্মার যাত্রা চক্রাকার – জন্ম-মৃত্যু-পুনর্জন্মের চক্রে আত্মা আবর্তিত হয় যতক্ষণ না মোক্ষ লাভ হয় (শ্লোক: ৮.১৬)

